- বাংলাদেশ
- ঢাবিতে হলের ছাত্রকে বহিরাগতের মারধরের অভিযোগ, প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবি
ঢাবিতে হলের ছাত্রকে বহিরাগতের মারধরের অভিযোগ, প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবি

ফাইল ছবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলের এক ছাত্রকে এক বহিরাগত মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় হল প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। তবে আন্দোলনকারীরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে। সোমবার রাত সাড়ে দশটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় রাত সোয়া ১টা পর্যন্ত হলের সব গেট বন্ধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা। মারধর করা ওই বহিরাগতকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের। তবে তার পরিচয় জানা যায়নি।
আন্দোলনের নেতৃত্বে রয়েছেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী নয়ন, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ইনানের অনুসারী জাহিদুল ইসলাম ম্যাক্স, ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের অনুসারী রবিউল ইসলাম এবং ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী মাজহারুল ইসলাম।
এ বিষয়ে মাজহারুল সমকালকে বলেন, আমার বন্ধু ফলিত গণিত বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের বায়েজিদ হলের পুকুর পাড়ে বসেছিল। এ সময় বাইরের একজন এসে তাকে মারধর করে। বাইরের লোকজন এভাবে হলে এসে ছাত্রদের মারধর করে যাবে, এটা ঠিক নয়। মারধরের প্রতিবাদে আমরা আন্দোলনে নেমেছি।
হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সম্প্রতি কিছু পদে লোকবল নিয়োগ দিয়েছে হল প্রশাসন। এসব পদে ছাত্রলীগের পছন্দের প্রার্থী নিয়োগ দেননি প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাবেদ হোসেন। এ ঘটনায় প্রাধ্যক্ষকে চাপে রাখতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এ আন্দোলন করছে। তবে ছাত্রলীগ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাজহারুল ইসলাম আকাশ বলেন, এ অভিযোগ সত্য নয়। হলের শিক্ষার্থীকে বহিরাগত এসে মেরে যাবে আর চার ঘণ্টায়ও প্রভোস্ট আসবে না, তা হয় না।
ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন সমকালকে বলেন, বহিরাগত ইস্যুতে ছাত্ররা আন্দোলন করেছেন বলে শুনেছি। নিয়োগের বিষয় আমার জানা নেই। এটা ছাত্রলীগের কাজ না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাধ্যক্ষ জাবেদ হোসেন সমকালকে বলেন, ‘আমি হলের দিকে যাচ্ছি। দেখি কী হয়েছে। আপনারাও খোঁজ রাখেন। আর আমরা যোগ্য প্রার্থী নিয়োগ দিয়েছি। তারা চাকরিতে যোগদান করেছেন।’
এ বিষয়ে জানতে প্রক্টর মাকসুদুর রহমানকে মোবাইল ফোনে কল করা হয়। তবে তিনি তখন ব্যস্ত ছিলেন।
মন্তব্য করুন