নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশের নদীতীর দখল প্রতিরোধে সরকার সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নিয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোনো আপস করা হয়নি। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকলে আপস করত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী পদক্ষেপের কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। নদীতীর দখল রোধে কেবল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদই করা হয়নি, নদীতীরে তৈরি করা হয়েছে ওয়াকওয়ে। সেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ হাঁটতে পারছে। 

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে নোঙর ট্রাস্ট আয়োজিত ‘নদী আমাদের মা’ শীর্ষক এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ২০০৪ সালের ২৩ মে চাঁদপুরের মেঘনায় ‘এমভি লাইটং সান’ নামে লঞ্চডুবির ঘটনা ঘটে। এরপর ২০০৫ সাল থেকে নোঙর ট্রাস্ট ২৩ মেকে জাতীয় নৌ-নিরাপত্তা দিবস ঘোষণার দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে আসছে। এরই অংশ হিসেবে আলোচনাসভাটির আয়োজন করা হয়। 

পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর নদীর দখল ও দূষণ নিয়ে ভাবা হয়নি উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদীমাতৃক বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হবে। কেননা, নদীগুলো মানুষের রক্তের শিরার মতো। শিরাতে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেলে মানুষ মারা যায়। তেমনি নদীগুলোর প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেলে বাংলাদেশও থেমে যাবে। আমরা  নৌনিরাপত্তার জন্য রাষ্ট্রের দায়িত্বে থেকে কাজ করছি।

নোঙর ট্রাস্ট চেয়ারম্যান সুমন শামসের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, নদী গবেষক তোফায়েল আহমেদ, মেরিন হাইস লিমিটেডের এমডি শামসুল আলম, বাংলাদেশ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিহির বিশ্বাস এবং রিভারাইন পিপলের মহাসচিব শেখ রোকন।