- বাংলাদেশ
- মেয়র তাপসের বক্তব্য আদালতের নজরে আনলেন ব্যারিস্টার আমীর
মেয়র তাপসের বক্তব্য আদালতের নজরে আনলেন ব্যারিস্টার আমীর

একজন প্রধান বিচারপতিকে সরিয়ে দিয়েছিলেন বলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের বক্তব্য প্রধান বিচারপতির নজরে এনেছেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম। বুধবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সামনে বিষয়টি উপস্থাপন করেন তিনি।
গত রোববার বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে মেয়র তাপসের ওই বক্তব্য নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের কিছু অংশ আদালতকে পড়ে শোনান ব্যারিস্টার আমীর। পরে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ঠিক আছে। আমরা পত্রিকার প্রতিবেদনটা পড়ি, দেখি কী আছে।’
দৈনিক মানবজমিনের প্রতিবেদনে মেয়র তাপসের বক্তব্য উদ্ধৃত করে ব্যারিস্টার আমীর আদালতকে জানান, ‘ ... মনটা চায় আবার ইস্তফা দিয়ে ফিরে আসি। যেখানে মুগুর দেওয়ার সেটাও জানি। একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম। মশিউজ্জামানকে (বার কাউন্সিলের গত নির্বাচনের সাব কমিটির প্রধান) আমরা মনে করতাম ওরে বাবা, কী জানি ফেরেস্তা আসছে। সবচেয়ে বড় চোর হলো মশিউজ্জামান। যেসব সুশীলরা আমাদেরকে বুদ্ধি দিতে যাবেন, সেসব সুশীলদের বস্তায় ভরে বুড়িগঙ্গা নদীর কালো পানিতে ছেড়ে দেব।’
আদালত কক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি মোমতাজউদ্দিন ফকিরসহ বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে আদালত থেকে বেরিয়ে সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ব্যারিস্টার আমীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংক্ষুব্ধ। বাংলাদেশের জনগণ বিচার বিভাগের দিকে তাকিয়ে থাকে। মেয়র বলেছেন, একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম, মানবজমিন পত্রিকায় এসেছে। গর্ব করে, যা দুর্ভাগ্যজনক।’
‘এটি বড় ধরনের অবক্ষয়। এ জন্য আমরা প্রধান বিচারপতির কাছে গিয়েছিলাম। আদালত বলেছেন, তাঁরা বিষয়টি দেখবেন। আমরা প্রত্যাশা করছি, আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এটি দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই বক্তব্যে বিচার বিভাগ শুধু নয়, সারা বাংলাদেশের মানুষ মনঃক্ষুণ্ণ হয়েছে। সারাদেশের মানুষ বিচারব্যবস্থার দিকে তাকিয়ে থাকে। বিচারকদের কথা শুনলে গ্রামের একজন চাষিও মনে করেন, সেখানে ন্যায়বিচার পাব।’
হাইকোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে ব্রিফিংয়ে আমীর-উল ইসলাম বলেন, ‘মেয়র তাপস সুশীল সমাজ সম্পর্কেও কটাক্ষ করে কথা বলেছেন। বারের সিনিয়র আইনজীবীদের নিয়েও কটাক্ষ করেছেন। বিচার বিভাগকে হেয় করেছেন। এই অধিকার তিনি কোথায় পেয়েছেন? এটা অত্যন্ত ঔদ্ধত্যপূর্ণ। তাঁর এ বক্তব্য আদালত অবমাননা।’
মন্তব্য করুন