চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের পথচলার ১১ বছর পূর্ণ হলো বুধবার। এ উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা আয়োজন ছিল ২৪ ঘণ্টার সংবাদমাধ্যমটিতে। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে নিজেদের কার্যালয়ে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. আজাদ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) তরুণ চক্রবর্তী, হা-মীম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এ আর মণ্ডল, সিনিয়র নির্বাহী পরিচালক জালাল আহমেদ, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের নির্বাহী পরিচালক তালাত মামুনসহ প্রতিষ্ঠানটির সংবাদকর্মী ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী।

২০১২ সালের ২৪ মে প্রতিষ্ঠার পর নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করে যাচ্ছে চ্যানেল টোয়েন্টিফোর। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দর্শকদের আস্থা ও ভালোবাসায় আরও এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির সংবাদকর্মী ও কলাকুশলীরা। সংবাদমাধ্যমটির ১২ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খানসহ জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকেরা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, চ্যানেল টোয়েন্টিফোর ভালো করছে। কারণ, তারা শিল্পের কথা বলে, অর্থনীতির কথা বলে, মানুষের কথা বলে, সংস্কৃতির কথা বলে।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. আজাদ বলেন, টোয়েন্টিফোর অতীতের মতো আগামীতে আরও চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করবে। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের পাশাপাশি সমাজের অবহেলিত, নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বেশি করে তুলে ধরবে। যারা ভালো করছে তাদের চেয়ে আরও কীভাবে ভালো করা যায় সেই চেষ্টা করতে হবে। 

সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান বলেন, চটকদারির জায়গা নয় বরং নিউজের ক্ষেত্রে যে শক্তিশালী অবস্থান তা ধরে রাখতে হবে। 

এদিকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে টোয়েন্টিফোর কার্যালয় বিশেষভাবে সাজানো হয়। অতিথিদের জন্য ছিল নানা মুখরোচক খাবার। চ্যানেলটির ১১ বছর পূর্তি উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশের বিভিন্নস্তরের শিল্পী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, রাজনীতিবিদ ও খ্যাতিমান নাগরিকরা।

চ্যানেলটির সংবাদকর্মীরা জানান, একটি সংবাদভিত্তিক চ্যানেলকে গ্রহণযোগ্যতার প্রশ্নে দীর্ঘ এক দশক টিকে থাকতে কিছু মৌলিক শক্তির প্রয়োজন, যে শক্তিতে তুলে আনা যায় খবরের পেছনের খবর আর উন্মোচন করা যায় নেপথ্যের কুশীলবদের। তাঁরা বলেন, ভালোর শেষ নেই। তবে প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে রয়েছে ভালো করার আকাঙ্ক্ষা। সে প্রত্যয়ে গণমানুষের সঙ্গে মিশে যায় চ্যানেল টোয়েন্টিফোর।

ঢাকা ছাড়াও সিলেট, খুলনা, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে টোয়েন্টিফোরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।