- বাংলাদেশ
- বায়োফার্মায় দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের
বায়োফার্মায় দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার রুলসহ এই আদেশ দেন।
এদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুস সালাম মামুন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহীন আহমেদ।
গত ১৮ এপ্রিল ‘দেশে দেশে পাচার বায়োফার্মার টাকা’ শিরোনামে একটি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে ওই প্রতিবেদনটি যুক্ত করে এবং অভিযোগের বিষয়ে দুদক ও এনবিআরে করা আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়ায় কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার মোর্শেদ উদ্দিন আকন্দ ও মো. জাহাঙ্গীর আলম গত সপ্তাহে হাইকোর্টে রিট করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রুল জারিসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট।
রুলে ওই দুর্নীতি, অনিয়ম ও অর্থ পাচারে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য সচিব, অর্থ সচিব, দুদক চেয়ারম্যান, এনবিআরের চেয়ারম্যান, বিএফআইইউ, বায়োফার্মা লিমিটেডের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আগামী ৩০ জুলাই বিষয়টি পরবর্তী আদেশের জন্য হাইকোর্টের কার্যতালিকায় আসবে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে মন্ত্রী-এমপি, রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের সঙ্গে দহরম-মহরম সম্পর্ক। তাঁদের সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তোলা হাস্যোজ্জ্বল ছবি দেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও; কিন্তু লন্ডনে স্ত্রীর জন্য চেয়েছেন রাজনৈতিক আশ্রয়। শুধু তাই নয়, লন্ডনে কোম্পানি খুলে ব্যবসাও করছেন। কয়েকটি দেশে তৈরি করেছেন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের জন্য দেশ থেকে অবৈধ চ্যানেলে নেওয়া হয়েছে বিপুল অঙ্কের টাকা। বিদেশে টাকা পাচার করে বিত্তবৈভবে ফুলে-ফেঁপে উঠলেও যেই কোম্পানির হাত ধরে এতকিছু, সেই প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে রুগ্ণ দশায়। গত ১৫ বছরেও শেয়ারহোল্ডারদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়নি বার্ষিক সাধারণ সভা। ২২ বছর ধরে দেওয়া হয় না কোনো লভ্যাংশ। এ সময়ে মোট পণ্য বিক্রির ৪০ শতাংশ কম দেখিয়ে শত শত কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন। কোম্পানির অভ্যন্তরীণ তদন্ত প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে এসব অনিয়মের চিত্র। এমন নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে নিমজ্জিত প্রতিষ্ঠানটি হলো বায়োফার্মা লিমিটেড। ওষুধ শিল্পে একসময় নেতৃত্ব দেওয়া এ প্রতিষ্ঠান এখন টিকে থাকার লড়াইয়ে।
এতে আরও বলা হয়, ধারাবাহিক অনিয়মে প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের মূল কারিগর উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) ডা. লকিয়ত উল্লাহ। কাগজে-কলমে ডিএমডি হলেও তিনিই প্রতিষ্ঠানটির সর্বেসর্বা।
মন্তব্য করুন