- বাংলাদেশ
- বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলেছে
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন
বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলেছে

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ফাইল ছবি।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলেছে। সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থা পরিকল্পনা মাফিক চললেও প্রাথমিক জ্বালানির ধারাবাহিক সরবরাহ চ্যালেঞ্জে পড়েছে। আগামী ২ বছরে আরও ২০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য উৎস হতে উৎপাদন করা হবে। নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আসবে। গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধান কার্যক্রম বাড়ানো হচ্ছে। পিএসসি হালনাগাদ ও আকর্ষণীয় করা হচ্ছে। ট্রান্সমিশন বেসরকারি খাতে দেওয়া হচ্ছে। বিতরণ ব্যবস্থা আধুনিকায়ন করা হচ্ছে।’
সোমবার বিদ্যুৎ ভবনে ‘বাজেট ২০২৩-২৪: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগকারীদের চ্যালেঞ্জ এবং প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ (এফইআরবি) এবং বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র মালিকদের সংগঠন বিপ্পা যৌথভাবে এই সভার আয়োজন করে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সমন্বিত মহাপরিকল্পনা অনুসারে বিদ্যুৎ, জ্বালানি খাতের উন্নত অবকাঠামো তৈরিতে ২০৫০ সালের মধ্যে ১৮০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ও বৈদেশিক উৎস থেকে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করা হবে। স্মার্ট গ্রিড, আধুনিক প্রযুক্তি, উন্নত সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থা, সাশ্রয়ী উৎপাদন সিস্টেমে এই বিনিয়োগ করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলেছে। সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থা পরিকল্পনা মাফিক চললেও প্রাথমিক জ্বালানির ধারাবাহিক সরবরাহ চ্যালেঞ্জে পড়েছে। আগামী ২ বছরে আরও ২০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য উৎস হতে উৎপাদন করা হবে। নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আসবে। গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধান কার্যক্রম বাড়ানো হচ্ছে। পিএসসি হালনাগাদ ও আকর্ষণীয় করা হচ্ছে। ট্রান্সমিশন বেসরকারি খাতে দেওয়া হচ্ছে। বিতরণ ব্যবস্থা আধুনিকায়ন করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম বাড়ানো হচ্ছে। আশা করি আরও গ্যাস পাওয়া যাবে। ভোলার গ্যাস মূলধারায় আনার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশটা সকলের। সরকারি-বেসরকারি খাত সম্মিলিতভাবে এগোলে দ্রুত কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে।’
এফইআরবির নির্বাহী পরিচালক রিসান নসরূল্লাহ’র সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিপ্পার ভাইস প্রেসিডেন্ট মোজাম্মেল হোসেন। তিনি তাঁর প্রবন্ধে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা, জ্বালানি আমদানিতে আর্থিক সংকট, প্রাথমিক জ্বালানিতে বিভিন্ন কর হার ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করেন।
এফইআরবির চেয়ারম্যান শামীম জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন, বুয়েটের অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসাইন, এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সাবেক সদস্য মো. মকবুল-ই-ইলাহী চৌধুরী এবং বিপ্পার সভাপতি ও সামিট গ্রুপের পরিচালক ফয়সাল খান বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য করুন