মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে আজিদ প্রামাণিক নামের এক কৃষি শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মো. সোহেল রানা নামের আরেক শ্রমিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার ভোরে তাঁকে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাড়ি থেকে আটক করা হয়। রোববার সকালে হরিরামপুরের হেলাচিয়া গ্রামে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন আজিদ। সোহেল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, গাঁজা সেবন নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে তিনি আজিদকে পিটিয়ে হত্যা করেন। সোমবার দুপুরে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম আজাদ খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

নিহত আজিদ প্রামাণিক নাটোরের সিংড়া উপজেলার লালোর গ্রামের বাসিন্দা। সোহেল রানার বাড়ি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার কেশবপুর গ্রামে।

এসপি গোলাম আজাদ খান বলেন, মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ধান কাটাসহ অন্যান্য কাজের জন্য ওই দু’জনকে ২৩ মে নিয়ে যান হেলাচিয়া গ্রামের কৃষক লাভলু মিয়া। প্রত্যেককে দিনে ৫০০ টাকা মজুরি দিতেন। রোববার সকালে শ্রমিকরা চালা ইউনিয়নের নারীকাটি গ্রামে লাভলু মিয়ার জমিতে খড় শুকাতে যান।

সোহেল পুলিশকে জানিয়েছেন, কিছু সময় কাজ করার পর গাঁজা সেবন নিয়ে আজিদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাঁকে গালাগালি দিতে শুরু করেন আজিদ। এতে উত্তেজিত হয়ে সোহেল হাতে থাকা কারাইল (বাঁশের তৈরি খড় শুকানোর লাঠি) দিয়ে আজিদকে পেটাতে থাকেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি মারা গেলে সোহেল নিজ এলাকায় পালিয়ে যান।

পুলিশ জানায়, এ ঘটনার পর তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় সোমবার ভোর ৪টার দিকে কেশবপুরের বাড়ি থেকে সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করেন মানিকগঞ্জ গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সদস্যরা।

হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার আদিত্য জানান, এ ঘটনায় আজিদের বাবা আব্দুল কাদের প্রামাণিক থানায় হত্যা মামলা করেন। ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেওয়ার জন্য ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোহেল রানাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।