- বাংলাদেশ
- নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যু: এসআইকে গ্রেপ্তার না করা এএসপিকে ‘তিরষ্কার’
নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যু: এসআইকে গ্রেপ্তার না করা এএসপিকে ‘তিরষ্কার’

পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনে মারা যাওয়া রায়হান আহমদ। ফাইল ছবি
সিলেটে পুলিশের হেফাজতে নির্যাতনে যুবক রায়হান আহমদের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ী এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তারে আইনানুগ উদ্যোগ না নেওয়ায় সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নির্মলেন্দু চক্রবর্তীকে লঘুদণ্ড হিসেবে ‘তিরষ্কার’ করা হয়েছে। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সাবেক এএসপি নির্মলেন্দুকে এ শাস্তি দিয়ে গত ২৫ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। নির্মলেন্দু বর্তমানে হবিগঞ্জের মাধবপুর সার্কেলে কর্মরত।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০২০ সালের ১১ অক্টোবর সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়ির এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ অন্য পুলিশ সদস্যদের নির্যাতনে যুবক রায়হান আহমেদ মারা যান। এ ঘটনায় সিএমপির তৎকালীন এএসপি নির্মলেন্দুর যথাযথ তদারকির অভাবে ভুল ধারায় পরদিন কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়। ঘটনার তদন্ত কমিটির সদস্য ছিলেন নির্মলেন্দু চক্রবর্তী। পুলিশ সদস্যদের শারীরিক নির্যাতনের কারণে রায়হান আহমেদের মৃত্যু ঘটে, যা ফৌজদারি অপরাধ। তা সত্ত্বেও এএসপি নির্মলেন্দু এসআই আকবর হোসেনকে গ্রেপ্তারে আইনানুগ উদ্যোগ গ্রহণ না করে শুধু বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে প্রতিবেদন দেন। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে ২০১১ সালের ১০ মার্চ অভিযোগনামা ও অভিযোগ বিবরণী জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, নির্মলেন্দু চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হলে গুরুদণ্ড আরোপের শঙ্কা থাকায় এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমানকে বিভাগীয় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা গত বছরের ২৭ নভেম্বর জমা দেওয়া তাঁর প্রতিবেদনে নির্মলেন্দু চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্ত ও সাক্ষ্য-প্রমাণে প্রমাণিত হয়েছে বলে জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে নির্মলেন্দুর বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী অদক্ষতা প্রমাণিত হওয়ার অভিযোগে ‘তিরষ্কার’ লঘুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
২০২০ সালের ১০ অক্টোবর মধ্য রাতে সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে রায়হান আহমদকে নির্যাতন করা হয়। পরদিন রায়হান মারা যান।
মন্তব্য করুন