- বাংলাদেশ
- রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকারি-বেসরকারি পার্টনারশীপ জরুরি: ডিসিসিআই
রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকারি-বেসরকারি পার্টনারশীপ জরুরি: ডিসিসিআই

দেশীয় অর্থনীতিতে বর্তমানে যে চ্যালেঞ্জিং সময় অতিবাহিত করছি তা মোকাবেলায় বাজেটে সরকার ব্যবসা ও অর্থনীতির সমন্বয় করেছে বলে বাজেট পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ডিসিসিআইয়ের সভাপতি ব্যারিস্টার মোঃ সামীর সাত্তার এ অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘দেশীয় অর্থনীতিতে বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সুযোগ তৈরি, রাজস্ব ঘাটতি মেটানো ও অর্থায়ন নিশ্চিতকরণ, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রিজার্ভ স্থিতিশীলতা আনয়নে এ বাজেট সহায়তা করবে।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ব্যারিস্টার মোঃ সামীর সাত্তার বলেন, বাজেটে করমুক্ত ব্যক্তিগত আয়ের সীমা সাড়ে তিন লাখ টাকা করেছে, তবে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিয়ে সেটাকে পাঁচ লাখ টাকা করা প্রয়োজন ছিল। এছাড়াও করযোগ্য নয় এমন টিনধারীদের উপর নূন্যতম ২ হাজার টাকা আয়কর আরোপের সিদ্ধান্ত, উচ্চ মূল্যস্ফীতির এ সময়ে স্বল্প আয়ের জনগোষ্ঠীর উপর করের বোঝা তৈরি করবে। তাই এ প্রস্তাব প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি।
কর্পোরেট কোম্পানির উইথহোল্ডিং কর রিটার্নের সংখ্যা ২৯টির পরিবর্তে ১২টিতে নামানোর সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ডিসিসিআই মনে করে কর্পোরেট করের হার না কমানোর ফলে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশে পিছিয়ে পড়বে। কর্পোরেট করের হার এবং ক্যাশ লেনদেনের সীমা ৩৬ লাখ টাকার পরিবর্তে বার্ষিক খরচের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা প্রয়োজন। তাই বিষয়টি পুণঃবিবেচনার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।এছাড়াও নন-লিস্টেড কোম্পানির কর হার ২.৫% হ্রাস করা প্রয়োজন বলে মনে করে ডিসিসিআই ।
স্থানীয়ভাবে মোবাইল ফোনের উৎপাদনের উপর ভ্যাট আরোপের কারণে উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্থ হবে জানিয়ে এ ভ্যাট প্রত্যাহারের আহ্বান জানান ডিসিসিআই সভাপতি। তিনি বলেন, সফটওয়্যার, ইলেটকট্রনিক্স, সোলার এনার্জি, লিফট ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং প্রভৃতি খাতের পণ্যের উপর আমদানি শুল্ক ১০% হতে ১৫% বৃদ্ধির কারণে এখাতসমূহে স্থানীয় শিল্পের সম্প্রসারণের সুযোগ তৈরি হবে। এছাড়া জ্বালানি খাতে মূল্য সহনীয় রাখতে বাজেটে ১৩ ধরনের পেট্রোলিয়াম পণ্য আমদানিতে ট্যারিফ ভ্যালু ও ভ্যাট প্রত্যাহার এবং ডিজেল আমদানিতে ৫% ডিউটি কমানোর পাশাপাশি উৎসে কর সমন্বয় করার বিধানের কারণে তেলের মূল্য কমবে। এটি মূল্যস্ফীতি হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
সামীর সাত্তার বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সারের দাম কম রাখতে গ্যাসের মূল্য কমানোর পাশাপাশি এ খাতে ব্যবহৃত ডিজেলে দাম কমানো প্রয়োজন এবং কৃষিখাতের আধুনিকায়নে যন্ত্রপাতি আমদানিতে কর অব্যাহত অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। এছাড়া, এ বছরও বাজেটে ব্যাংকিং খাত হতে ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা বেসরকারিখাতে ঋণ প্রবাহ সংকুচিত হওয়ার পাশাপাশি খেলাপী ঋণ বৃদ্ধি পাবে।
মন্তব্য করুন