- বাংলাদেশ
- রেফারির গায়ে হাত তোলাই বাকি ছিল মরিনহোর!
রেফারির গায়ে হাত তোলাই বাকি ছিল মরিনহোর!

গায়ে হাত তোলাই বাকি ছিল! এতটা খ্যাপাটে হোসে মরিনহোকে দেখা যায়নি আগে। কোচিং ক্যারিয়ারে তাঁর পাগলামো নিয়ে প্রায়ই কথা হয়েছে। কিন্তু এভাবে ফাইনালে হারার পর রেফারির দিকে তেড়ে যাওয়া! তাঁকে গালাগাল করা, এমনকি তাঁকে শায়েস্তা করতে ম্যাচের পর তাঁর পথে দাঁড়িয়ে থাকা– এসব নিয়ে রোমা কোচ নিশ্চয়ই স্বস্তিতে থাকতে পারবেন না। ক্লাব থেকে তাঁকে বের করে দিলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
বুধবার রাতে ইউরোপা লিগের ফাইনালে সেভিয়ার কাছে টাইব্রেকারে ৪-১ গোলে হেরে যায় রোমা। তাতে পুরোনো রেকর্ড ভেঙে চুরমার।
এর আগে উয়েফার প্রতিযোগিতার পাঁচটি ফাইনালে কোচ হিসেবে অংশ নেন মরিনহো। যার একটিতেও হারেননি তিনি। এবার হেরে যাওয়ায় বোধহয় মেনে নিতে পারেননি। রানার্সআপ মেডেলও ছুড়ে মারেন দর্শকদের দিকে।
ম্যাচের পর মরিনহোর কাণ্ড নিয়ে তুমুল আলোচনা। তবে রেফারি অ্যান্থনি টেইলরেরও কিছু পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্ত ছিল। যেটা মরিনহোর কাছে বড় হয়ে ধরা দেয়। ম্যাচের পর এসব নিয়ে কথা বলেন এই পর্তুগিজ কোচ, ‘দেখুন সিলভার মেডেলের কোনো প্রয়োজন নেই আমার। এটি আমি চাই না। রানার্সআপ পদক নিজের কাছে রাখি না। এ জন্যই দিয়ে দিয়েছি। আসলে শারীরিকভাবে আমরা অবসন্ন, মানসিকভাবে বলা যায় শেষ। এই হার মেনে নেওয়া যায় না। যা হয়েছে আমাদের কাছে অন্যায্য মনে হচ্ছে। আমাদের ম্যাচে রেফারির এমন প্রভাবে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি, নতুন কিছুই নয়। তবে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার ফাইনালে তা আশা করিনি, যা আমাকে অনেক বেশি হতাশ করেছে।’
সেভিয়ার অবশ্য কপাল! না হলে সাতটি ইউরোপা লিগের ফাইনালে গিয়ে সাতটিতেই চ্যাম্পিয়ন হওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় তারা এখন রিয়াল-বার্সাসহ পাঁচ ক্লাবের পর।
উয়েফার টুর্নামেন্টগুলোতে সেভিয়ার চেয়ে বেশি শিরোপা আছে পাঁচ ক্লাবের। তারা হলো– রিয়াল (১৪), বার্সা (১২), মিলান (৯), লিভারপুল (৯) ও বায়ার্ন মিউনিখ (৮)।
মন্তব্য করুন