ভূমি খাত উন্নয়নে আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থ বরাদ্দ বেড়েছে খুবই সামান্য। প্রচলিত ব্যবস্থার পরিবর্তে ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নের ঘোষণা দেওয়া হলেও এ খাতে উল্লেখযোগ্য বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়নি। এবার ভূমির পরিচালন ও উন্নয়নে ২ হাজার ৪৫৯ টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে।

চলতি অর্থবছরে এ খাতে পরিচালন ও উন্নয়নে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল ২ হাজার ৩৮৪ কোটি টাকা। এ হিসাব অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ ভূমি খাতে চলতি অর্থবছরের মোট বরাদ্দের চেয়ে ৭৫ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা যৎসামান্য।

প্রস্তাবিত বাজেটে ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নের ওপর জোর দেওয়া হয়। বলা হয়, ভূমির স্বল্পতা, ব্যবস্থাপনাগত দীর্ঘসূত্রতা ও নানা জটিলতার কারণে ভূমি ব্যবস্থাপনায় পূর্ণ সুশাসন নিশ্চিত করার চাহিদা দীর্ঘদিনের। প্রশাসনিক সংস্থার ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ভূমি সমস্যার কার্যকর সমাধানের জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

তারই অংশ হিসেবে তিন পার্বত্য জেলা ছাড়াও ৬১টি জেলায় শতভাগ ই-নামজারি নিশ্চিত করা হয়েছে। অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় ও হোল্ডিং এন্ট্রি কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। ভূমিবিষয়ক তথ্যসেবা প্রদানের জন্য হটলাইন (১৬২২২) চালু করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের পহেলা বৈশাখ থেকে সব ভূমি উন্নয়ন কর ও নামজারি ফি চালান সিস্টেমের মাধ্যমে জমা নেওয়া হচ্ছে।