ময়মনসিংহের ভালুকায় বন বিভাগের গাছ চুরি ও জমি দখল নিয়ে অন্তত ৩৫ মামলার আসামি মো. মনিরুজ্জামান এবার ভুক্তভোগীদের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ করেছেন। সমকালে শুক্রবার ‘বন দখলে মনিরের রাজত্ব!’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর তোলপাড় সৃষ্টি হলে সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগীদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও হবিরবাড়ি ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক দাবি করে মনির বলেন, ‘উপজেলার পাড়াগাঁও মৌজায় দীর্ঘদিন ধরে এনডিই নামের একটি কোম্পানির জমি ক্রয় করে আসছি। ওই জমির পাশে সফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি ৩১ শতক জমি আমাদের কাছে বিক্রয়ের জন্য ২২ লাখ টাকা বায়না নেন। কিন্তু সে জমি সাব-কবলা রেজিস্ট্রি করে না দিয়ে জেলা প্রশাসক, বন বিভাগ ও পুলিশ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরসহ ময়মনসিংহ ও ভালুকা প্রেস ক্লাবে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে। এমনকি মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করে সম্প্রতি ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে মিথ্যে সংবাদ পরিবেশন করে আমার পরিবারসহ আমাকে সামাজিক ও ব্যবসায়িকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করে যাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, শফিকুল ইসলাম, নূর মোহাম্মদ সিদ্দিকি (টিপু), আমির হোসেন, নাঈম সরকার, আব্দুর রউফসহ সংঘবদ্ধ একটি চক্র তাঁর কাছে ২ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। তাদের চাঁদা না দেওয়ায় বিভিন্নভাবে তাঁকে হয়রানি করা হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়েও রাজাকার পরিবার সদস্যদের কাছে হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন বলে জানান মনির।

এ বিষয়ে সফিকুল ইসলাম বলেন, মনির নিজেকে বাঁচানোর জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।

ইউএনও এরশাদুল আহমেদ বলেন, উভয়পক্ষকে নিয়ে বসে আলোচনা করে মনিরকে রাস্তা খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেটি মানেননি। দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই এলাকায় গিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।