
ড. আতিউর রহমান, সভাপতি, উন্নয়ন সমন্বয়
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর এবং উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি ড. আতিউর রহমান বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেট উচ্চাভিলাষী নয়, বরং সংস্কারমুখী এবং আশাবাদী। অবশ্য ৫ লাখ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় এবং মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে ধরে রাখা চ্যালেঞ্জিং হবে। যদিও বর্তমান বাস্তবতায় এই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার বিকল্প ছিল না।
গতকাল উন্নয়ন সমন্বয় কার্যালয়ের বাজেট-পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় মূল নিবন্ধে তিনি এ কথা বলেন। সংস্থাটির খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইমেরিটাস ফেলো খন্দকার সাখাওয়াত আলী। আলোচনায় অংশ নেন সংস্থার লিড ইকোনমিস্ট রবার্ট শুভ্র এবং সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট শাহনাজ হীরা।
ড. আতিউর বলেন, করমুক্ত আয়ের সীমা সাড়ে তিন লাখ টাকা করলে মুদ্রাস্ফীতির চাপ থেকে অনেক নাগরিক স্বস্তি পাবেন। তবে ধনীদের সম্পদের ওপর করের সীমা ৩ কোটি থেকে ৪ কোটি টাকায় উন্নীত করা এবং শিক্ষার্থী ও শ্রমিকদের বিদেশ যাত্রায় বাড়তি করারোপের প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার দাবি রাখে। বাজেট ঘাটতি অর্থায়ন এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মুদ্রানীতিতেও পদক্ষেপ থাকতে হবে। এ দুয়ের মধ্যে সমন্বয় নিশ্চিত করা একান্ত জরুরি। তাঁর মতে, করযোগ্য আয় না থাকলেও ন্যূনতম ২ হাজার টাকা করের প্রস্তাবটি রাজস্ব আয় এবং কর প্রদানের সংস্কৃতি প্রসারে সহায়ক হবে। তবে যেন সাধারণ মানুষের হয়রানির কারণ না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
রবার্ট শুভ্র বলেন, তৃণমূল পর্যায়ের চাহিদা মেটাতে নতুন সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি চালুর প্রয়োজনীয়তা ছিল। তবে প্রস্তাবিত বাজেটে তা করা হয়নি। বর্তমানে সামাজিক সুরক্ষার উপকারভোগীদের মধ্যে মাত্র এক-চতুর্থাংশ নিম্ন আয় শ্রেণি থেকে আসছেন।
শাহনাজ হীরা বলেন, বাস্তবায়নের অদক্ষতার দোহাই দিয়ে স্বাস্থ্য খাতের জন্য বরাদ্দ বাড়ানো হয়নি। এতে জনগণের ওপর স্বাস্থ্য ব্যয়ের চাপ বাড়বে। বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শূন্য পদে লোকবল নিয়োগে বরাদ্দ বাড়ালে গ্রামাঞ্চলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রার্থীদের আউট অব পকেট স্বাস্থ্য ব্যয়ের অনুপাত ৬৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫০ শতাংশের কাছাকাছি নিয়ে আসা সম্ভব।
মন্তব্য করুন