পুরান ঢাকার শ্যামপুরের গেন্ডারিয়ার ডিআইটির শতবর্ষের পুকুর দখলমুক্ত করে তা সংরক্ষণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি রিটে পুকুর দখল করে মার্কেট ও কাউন্সিলর অফিস নির্মাণে নিষেধাজ্ঞাসহ দখলের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

রোববার মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ এ রিটটি দায়ের করেন। সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী ও রিপন বাড়ৈর পক্ষে এ রিটটি দায়ের করা হয়। রিটে স্থানীয় সরকার সচিব, পরিবেশ সচিব, রাজউক চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

রিট দায়েরের পর মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের জানান, চলতি সপ্তাহে রিটটি হাইকোর্টের এখতিয়ার সম্পন্ন বেঞ্চে শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে। চলতি সপ্তাহেই শুনানি হতে পারে।

গত ২১ মে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘পুকুর দখল করে মার্কেট ও কাউন্সিলর কার্যালয়’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। রোববার ওই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, এক সময় যে পুকুরে গোসল, ধোয়ামোছা চলতো, এখন সেই পুকুর মৃতপ্রায়। চারপাশে ভবনের পর ভবন। পুকুরের ভেতরে এমনভাবে দোকান ও মার্কেট করা হয়েছে যে দোকানের পেছনে যে পুকুর রয়েছে সেটি সড়ক থেকে বোঝাই যাচ্ছে না। দিনের বেলা মার্কেট নির্মাণের কাজ বন্ধ থাকলেও রাতের বেলা দোকান তুলে পুকুর দখলের অভিযোগ উঠেছে। রাজধানীর গেন্ডারিয়ার ডিআইটির শতবর্ষের এ পুকুরটি দখলের ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছে এলাকাবাসী।

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) বলছে, যারা দখল করছে তারা মামলার পর মামলা করায় আমরা পেরে উঠছি না। জনস্বার্থে পুকুরটি রক্ষায় সবারই এগিয়ে আসা উচিত।

রাজউক ১৯৬৩ সালে গেন্ডারিয়ায় ১৩ দশমিক ৫৭ একর সম্পত্তি অধিগ্রহণ করে। এর মধ্যে দুই একরের একটি পুকুরও ছিল। পুকুরটির বয়স বর্তমানে প্রায় ১০০ বছর। সেই পুকুরটিই ব্যক্তিমালিকানাধীন দাবি করে এখন ভরাট করার প্রতিযোগিতা চলছে।