- বাংলাদেশ
- বিচারক নেই ৫০ দিন, মামলার জট বাড়ছে
বিচারক নেই ৫০ দিন, মামলার জট বাড়ছে

শেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ ড. ইমান আলী শেখকে গত ১৬ এপ্রিল প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়। ধর্ম নিয়ে নিজের ফেসবুক পেজে আপত্তিকর ভিডিও প্রচারের অভিযোগে তাঁকে বদলি করা হয়। এ কারণে ৫০ দিন ধরে পদটি ফাঁকা। বর্তমানে ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আব্দুস সবুর মিনা জামিন শুনানিসহ কিছু দৈনন্দিন কাজ করেন। ফলে ওই আদালতের বিচারকাজ বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, শেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ও শিশু আদালতে বিচারাধীন মামলা রয়েছে প্রায় দেড় হাজার। দেড় মাসের বেশি সময় বিচারকাজ বন্ধ থাকায় মামলার জট বেড়েছে। বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগও বেড়েছে।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন মুন্না বলেন, বিচারকাজ বন্ধ থাকায় ন্যায়বিচার বিলম্বিত হচ্ছে। বিনা বিচারে অনেক মানুষ কারাগারে বন্দি থাকছেন। আদালতে স্থায়ী বিচারক না থাকায় কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ মামলার জামিন শুনানি হচ্ছে না। গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ না হওয়ায় মামলা এগোচ্ছে না। তাই বিচারক নিয়োগ দেওয়া জরুরি।
জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি গোলাম কিবরিয়া বুলুর ভাষ্য, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নিজ আদালতের কাজ সেরে নারী ও শিশু নির্যাতনের সামান্য কিছু মামলার জামিন শুনানি করেন। হাজতে থাকা আসামির জামিন শুনানি ছাড়া অন্য কিছু করতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি। ফলে পুরো বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ।
শেরপুর জেলা ও দায়রা জজ তৌফিক আজিজ বলেন, ট্রাইব্যুনালের বিচারক না থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক কাজ করছেন। তবে তিনি সব মামলা নিয়মিত শুনানি করতে পারেন না, সাক্ষ্যও নিতে পারেন না। ফলে বিচারকাজ একটু বিলম্বিত হচ্ছে।
মন্তব্য করুন