- বাংলাদেশ
- ২৪ বিশেষায়িত হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা পাবেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা
২৪ বিশেষায়িত হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা পাবেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা

সোমবার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবা প্রদান সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। ছবি- সমকাল।
জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালসহ মেডিকেল কলেজ ও ২৪টি বিশেষায়িত হাসপাতালে বিনামূল্যে ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত চিকিৎসাসেবা পাবেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। এছাড়া মুমূর্ষু রোগীর অপারেশন ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিবেচনা অনুযায়ী দুই লক্ষ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করা যাবে। এর মধ্যে ওষুধ, বিছানা, পথ্য এবং নার্সিং সেবা অন্তর্ভুক্ত।
এ লক্ষ্যে সোমবার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবা প্রদান সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সিনিয়র সচিব খাজা মিয়া এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ৫ বছর ধরে চিকিৎসাসেবা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। তবে চিকিৎসাসেবা সহায়তা প্রদানের বিষয়টি এখনও মুক্তিযোদ্ধারা ভালোভাবে জানেন না। তাদের জানাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যেকোনো সুবিধা-অসুবিধার বিষয় অবগত আছেন। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আন্তরিকতার সঙ্গে চিকিৎসাসেবা দিতে চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদানের লক্ষ্যে সরকারি হাট-বাজারসমূহের ইজারালব্ধ আয়ের ৪ শতাংশ অর্থ ব্যয় নীতিমালা-২০২২ জারি করা হয়েছে। এ নীতিমালার আওতায় মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। এর আওতায় দুই মন্ত্রণালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হলো।
বিশেষায়িত হাসপাতালগুলো হলো-
ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর), জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতাল, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল, গোপালগঞ্জের শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় হৃদরোগ ফাউন্ডেশন হাসপাতাল, বারডেম জেনারেল হাসপাতাল, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট এবং ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট।
/এইচকে/
মন্তব্য করুন