ইএমকে-বিজেএস ফেলোশিপের কার্যক্রম শুরু

ছবি: বিজেএস
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৩ | ১৪:০৫ | আপডেট: ০৫ জুন ২০২৩ | ১৪:৩৮
ঢাকার ইএমকে সেন্টারের পৃষ্ঠপোষকতায় বিল্ডিংঅ্যাসেটস জার্নালিজম স্কুল (বিজেএস) আয়োজিত মধ্য-ক্যারিয়ারে থাকা সাংবাদিকদের জন্য একটি ফেলোশিপের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সোমবার (৫ জুন) রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে মাইডাস ভবনে ইএমকে সেন্টারে শুরু হয়েছে। বিজেএস হচ্ছে বাংলাদেশি জার্নালিস্টস ইন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়ার (বিজেআইএম) একটি অলাভজনক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
‘উন্নত সাংবাদিকতার জন্য প্রয়োজনীয় কর্মশালা’ নামক ফেলোশিপটিতে ৪০ জন সাংবাদিকদের একটি অত্যন্ত কঠোর ও নিরপেক্ষ যাচাইবাছাইয়ের মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়েছে। এই মিশ্র সাংবাদিক ব্যাচে রয়েছেন প্রতিবেদক, ফটোসাংবাদিক এবং ভিডিওসাংবাদিক। কারণ এই ফেলোশিপের অন্যতম মুখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রতিটি পেশাদার সাংবাদিকের বহুমুখী কর্মপ্রতিভা শাণিত করে তোলা।
ইএমকে সেন্টার প্রদত্ত স্মল গ্র্যান্ট ২০২২-২৩ বিজয়ী হয়ে বিজেএস আক্ষরিক অর্থেই দেশের সাংবাদিকতা বিকশিত করে তোলার উদ্যোগে এই ফেলোশিপ পরিচালনা করছে।
ফেলোরা এই কর্মশালায় সাতটি বিষয়ে শিক্ষা পাবেন – মোবাইলফোন সাংবাদিকতা, গল্পবলা সংবাদ উৎস সংগ্রহ ও সংরক্ষণ, সংবাদ নীতি ও অনসুন্ধানী সাংবাদিকতা, দীর্ঘলেখনী সাংবাদিকতা, ভুয়া নিউজ ও ভুল তথ্য খুজেঁ বের করার সাধারণ কিছুনিয়মাবলী, বহুমুখী সাংবাদিকতা এবং প্রতিকূল পরিবেশে সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণ।
এই কর্মশালায় প্রতিজন প্রশিক্ষকই একেকজন স্ব-স্ব স্থানে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী সাংবাদিক। এএফপি ব্যুরোপ্রধান শফিকুল আলম, প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি রোজিনা ইসলাম, আল-জাজিরা প্রতিনিধি ফয়সাল মাহমুদ, এএফপি ফ্যাক্টচেক সম্পাদক কদরউদ্দিন শিশির, ডি ডাব্লিউ একাডেমি প্রশিক্ষক মাকসুদা আজিজ, পুলিৎজারজয়ী একমাত্র বাংলাদেশি সাংবাদিক মোহাম্মদ পনির হোসেন এবং আন্তর্জাতিক পুরষ্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক স্যাম জাহান। দশ সপ্তাহব্যাপী এই অনাবাসিক কর্মশালা শেষে অন্তত ৭০ শতাংশ নম্বর ওঠাতে পারলে ফেলোরা পাবেন একটি সনদ এবং প্রথম তিনজন পাবেন আকর্ষণীয় ক্রেস্ট।
বিজেএস-এর প্রধান প্রশিক্ষক স্যাম জাহান বলেন, ‘স্থানীয় পর্যায়ের শীর্ষ প্রশিক্ষকদের দ্বারা পরিচালিত এই ধরনের ফেলোশিপ এবং প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামগুলো আসলেই সহসা দেখা যায় না। এটি আমাদের ফেলোদের জন্য তাদের দক্ষতা বাড়াতে এবং আরও ভাল সাংবাদিক হওয়ার একটি দুর্দান্ত সুযোগ হবে। আমরা আশা করি আমরা ভবিষ্যতেও এই ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে পারব।’
ফেলোশিপে অংশ নিয়েছেন মো. সাহাবীর মিয়া (বীর সাহাবী), মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আব্দুল্লাহ আল জোবাইর, ঝুমুর সাহা, মারজিয়া হাশমি মম, নাসিমুল আহমেদ শুভ, সাইমুন মুবিন, মনিরুজ্জামান, সবুজ মাহমুদ, ফারিজা সাবরিন, রাফিয়া খানম চৌধুরি, ফৌজিয়া সুলতানা, শরীফা সুলতানা, ইফফাত জাহান, ফারহানা হক, মো. হেদায়েত উল্লাহ, মো. আরশাদ আলী, মো. সাজ্জাদ হোসেন, মো. জাহিদলু ইসলাম, গোলাম রব্বানি, মো. মিরাজ হোসেন, শেখ শাহরুখ ফারহান, মো. মিনহাযুল আবেদিন রিয়াজ চৌধুরী, এম এম হাশমি, নায়েম শান, মো. তানজিল আহমেদ, মো. ওসমান গণি, মো. তাজনুর ইসলাম, তাসলিমুল আলম তৌহিদ, শোয়েব আব্দুল্লাহ, মাহফুজুর রহমান মানিক, স্টেফান রোজারিও, নুর মোহাম্মদ, অমিত বণিক, মো. আসাদজুজামান, হাসান আল মানজুর, মো. মারিফুল ইসলাম, ক্যারি আশীর্বাদ বিশ্বাস এবং ইয়াসির আরাফাত।
/ওয়াইএ/