লিটনদের সঙ্গে না থেকেও আছেন সিডন্স

জেমি সিডন্স জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচের পদ থেকে স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়িয়েছেন প্রান্তিক পর্যায়ে কাজ করার অভিপ্রায় থেকে। বিসিবিও জেমিকে জাতীয় দলের পাইপলাইন ‘এ’ দল ও বাংলাদেশ টাইগার্সে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে। নতুন দায়িত্বে অস্ট্রেলিয়ান এ কোচের প্রথম কাজ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের চার দিনের তিন ম্যাচের সিরিজ। 

দেশের মাটিতে ক্যারিবীয়দের কাছে সিরিজ হারলেও জেমির কাজ নিয়ে আপত্তি তোলেনি বিসিবি। অফিসিয়ালি না থাকলেও জাতীয় দলের কোচিং স্টাফে ঠিকই রাখা হয়েছে তাঁকে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজ সামনে রেখে জাতীয় দলের অনুশীলনে ক্রিকেটারদের ব্যাটিং পাঠ দিচ্ছেন তিনি। তামিম ইকবালদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে জেমি নিজেকে উজাড় করে দিচ্ছেন।

১৪ জুন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টেস্ট ম্যাচ দিয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজ শুরু হলেও ক্যাম্পে লাল, সাদা– দুই বলেই অনুশীলন চলছে। এ কারণে ক্রিকেটারের সংখ্যাও বেশি। প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে তাই জেমিকে ডেকে নিয়েছেন ব্যাটারদের অনুশীলন করাতে। পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ডের সঙ্গে কাজ করছেন চম্পকা রমানায়েকে। 

জেমিকে জাতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত করার কারণ জানতে চাওয়া হলে বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফীস বলেন, ‘বাংলাদেশ টাইগার্সের ক্রিকেটারদের নিয়ে জেমির কাজ করার কথা। টাইগার্সের অনেক ক্রিকেটার জাতীয় দলের ক্যাম্পে রয়েছে। এ ছাড়া টেস্ট ম্যাচ শুরু হয়ে গেলে সাদা বলের ক্রিকেটারদের আলাদা অনুশীলন করাতে হবে। জেমি এবং আরও কয়েকজন কোচ সে কাজটি করবেন। সে কারণে জাতীয় দলের সঙ্গে রাখা হয়েছে তাঁকে।’ 

জেমি মূলত বিসিবির ব্যাটিং পরামর্শক কোচ। বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ যে কোনো জায়গায় তাঁকে কাজে লাগাতে পারে। ‘এ’ দল বা টাইগার্সের কার্যক্রম না থাকায় জাতীয় দলের ব্যাটারদের নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করতে পারছেন তিনি। নেটে খুব মনোযোগ দিয়ে ব্যাটারদের পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। প্রয়োজন হলে হাতে তুলে নেন থ্রোয়ার। নেটে আলাদা করে নেন কোনো কোনো ব্যাটারকে। চন্ডিকা হাথুরুসিংহের দলেও সেটাই করছেন তিনি। প্রধান কোচ জেমিকে যে দায়িত্ব দিচ্ছেন, সেটা তিনি পালন করছেন আন্তরিকতা নিয়ে। সেদিক থেকে বলাই যায় জাতীয় দলে না থেকেও আছেন এ ব্যাটিং বিশেষজ্ঞ।