- বাংলাদেশ
- সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইলেন চবির দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা
সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইলেন চবির দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা
মানববন্ধনে ১৩ দফা দাবি

চবির শহীদ মিনারে মানবন্ধন করছেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা
সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরুর পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধনে তাঁরা এ দাবি জানান। এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা আরও ১৩ দফা দাবি জানিয়েছেন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এসব দাবি না মানা হলে কঠোর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
৪ জুন রাতে জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলেকে প্রতিমন্ত্রী খসরু বলেন, ‘তাঁরা (প্রতিবন্ধী) বঞ্চিত হচ্ছেন না। তাঁদের যা পাওয়ার কথা তাঁরা তা পাচ্ছেন। এখন যারা লিখতেই পারেন না, তাঁরা চাকরি পাবেন কীভাবে?’
প্রতিমন্ত্রীর এ বক্তব্যকে অসম্মানজনক বলে মনে করছেন প্রতিবন্ধীরা। তাঁদের দাবি, প্রতিমন্ত্রীকে এ মন্তব্য প্রত্যাহার এবং জনসম্মুখে দুঃখ প্রকাশ করতে হবে।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে নানা স্লোগান দেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সংগঠন প্রতিবন্ধী ছাত্রসমাজের আয়োজনে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সিহাব উদ্দিন, আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের আল আমিন হোসেন, ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মোহাম্মদ সুরাত আলম প্রমুখ।
আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মোহাম্মদ আল আমিন বলেন, ‘প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে পড়ালেখা করেন। ১৭ বছর পড়াশোনা করে তাদের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করতে হয়। প্রতিমন্ত্রী কী করে বলেন, তারা লিখতে জানে না, পড়তে জানে না? তাঁকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে।’
শিক্ষার্থীদের ১৩ দাবির মধ্যে রয়েছে– নবম গ্রেড থেকে ২০তম গ্রেডের বেতনভুক্ত সরকারি স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত চাকরিতে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের বিশেষ নিয়োগের ব্যবস্থা করা, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন থেকে ২০১৯ সালের ১৭ এপ্রিল প্রকাশিত দশম গ্রেডভুক্ত ৩৮ নম্বর শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিল করা, শিক্ষা ও চাকরির পরীক্ষায় অভিন্ন শ্রুতিলেখক নীতিমালা প্রণয়ন করা, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের স্নাতকোত্তর শেষ করার পর থেকে চাকরি পাওয়ার আগে পর্যন্ত ১০ হাজার টাকা মাসিক বেকার ভাতা দেওয়া, ১ হাজার কোটি টাকায় বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের উদ্যোক্তা তহবিল গঠন করা, প্রতিবন্ধী উন্নয়ন অধিদপ্তরকে অবিলম্বে কার্যকর করা, ইশারা ভাষা ইনস্টিটিউট গঠন এবং সরকারি সব প্রতিষ্ঠানে ইশারা ভাষাসেবা নিশ্চিত করা। এ ছাড়া বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য (গুরুতর প্রতিবন্ধী) স্বাস্থ্য ও কেয়ারগিভার ভাতা চালু করা।
মন্তব্য করুন