হেপাটোলজি সোসাইটি জানিয়েছে, দেশের ফ্যাটি লিভার আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার ন্যূনতম অর্থনৈতিক মূল্য ৭৫ হাজার ৬৯০ কোটি টাকা, যা জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দের দ্বিগুণ।

বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক গোলটেবিল বৈঠকে হেপাটোলজি সোসাইটি, বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধ্যাপক ডা. শাহিনুল আলম এসব তথ্য জানান।

৬ষ্ঠ আন্তর্জাতিক ন্যাশ দিবস উপলক্ষে হেপাটোলজি সোসাইটি এ বৈঠকের আয়োজন করে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন লিভার বিশেষজ্ঞ ও হেপাটোলজি সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক মবিন খান। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. এ এস এম মতিউর রহমান। 

গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্য উপস্থাপন করে ডা. শাহিনুল বলেন, প্রত্যেক ফ্যাটি লিভার রোগীর হাসপাতালে একবার চিকিৎসা নিতে গড়ে ১৬ হাজার ৮১০ টাকা ব্যয় হয়। এ হিসেবে সব রোগী একবারের জন্য চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে গেলে মোট ব্যয় দাঁড়ায় ৭৫ হাজার ৬৯০ কোটি টাকা।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ খাতে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৩৮ হাজার ৫২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। সে হিসেবে ফ্যাটি লিভার চিকিৎসার মোট ব্যয় জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে মোট বরাদ্দের দ্বিগুণ।

তিনি আরও বলেন, ফ্যাটি লিভারজনিত সিরোসিস ও লিভার ক্যান্সারের রোগী ক্রমাগত বাড়ছে। এ সংক্রান্ত জটিলতার ক্ষেত্রে শারীরিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ আরও অনেক বেশি।

এ সময় বিএসএমএমইউয়ের হেপাটোলজি বিভাগের কনসালট্যান্ট ডা. মো. সাইফুল ইসলাম এলিন বলেন, দেশে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি লোক ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত। দিন দিন তা বেড়েই চলেছে। তাই ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধে চিকিৎসকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।

গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা বলেন, জীবনাচরণ পরিবর্তনের পাশাপাশি ৭ থেকে ১০ শতাংশ ওজন হ্রাস হচ্ছে ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধের মূলমন্ত্র।