- বাংলাদেশ
- বন্ধুর সনদে চাকরি, টাকা হাতিয়ে ধরা
বন্ধুর সনদে চাকরি, টাকা হাতিয়ে ধরা

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পিবিআই উত্তর বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, হেলাল কৌশলে তার স্কুল জীবনের বন্ধু জাহাঙ্গীর আলমের শিক্ষাগত সনদপত্র, জন্মসনদ ও জীবন বৃত্তান্ত সংগ্রহ করে। পরে এসব কাগজপত্রে নিজের ছবি যুক্ত করে। এরপর সেই কাগজপত্র দিয়ে একটি কোম্পানিতে চাকরি শুরু করে সে। এ সময় নিজের প্রকৃত নাম পরিচয় গোপন করে সে জাহাঙ্গীর নামে পরিচিত হয়ে ওঠে।
তিনি বলেন, এ পরিচয়ে হেলাল ২০১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বরে তানজিম প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড কোম্পানিতে অফিসার পদে চাকরি শুরু করে। সর্বশেষ ২০২১ সালের ৯ মে প্রতারণার আশ্রায় নিয়ে কোম্পানির পণ্য বিক্রির ১৯ লাখ ২১ হাজার ৫০০ টাকা মার্কেট থেকে উঠিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। এ ঘটনার পর ওই প্রতিষ্ঠানের এমডি মোহাম্মদ গোলাম হোসেন রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন।
মোহাম্মদপুর থানার এসআই শফিউল আলম প্রথমে মামলাটি তদন্ত করেন। তিনি মামলার তদন্ত শেষে জাহাঙ্গীর আলমের নাম ঠিকানা সঠিক না পেয়ে তাকে অব্যাহতির আবেদনসহ আরেক আসামি মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেন। কিন্তু মামলার বাদী ওই চার্জশিটের বিপক্ষে নারাজি আবেদন করেন। পরে আদালত মামলাটি নতুন করে তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন।
পিবিআইয়ের তদন্তে বেরিয়ে আসে, হেলার যার শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র ব্যবহার করেছেন তার নাম জাহাঙ্গীর আলম। তিনি হেলালের স্কুলজীবনের বন্ধু ছিলেন।
জাহাঙ্গীর আলম ভোলার চর মোতাহার আলিম মাদ্রাসায় ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী পদে চাকরি করেন বলে জানান পিবিআইয়ের এই কর্মকর্তা। এ ছাড়া হেলাল বর্তমানে গাড়ির যন্ত্রাংশের ব্যবসা করছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন