মাসিক ভাতা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন বেসরকারি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকরা। তাঁরা বলেন, বর্তমান বাজারমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভাতা ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা করতে হবে। আগামী ১২ জুনের মধ্যে এ দাবি না মানলে পরদিন থেকে কর্মবিরতি পালন করা হবে। সারাদেশে একযোগে এ কর্মসূচি পালন করবেন প্রায় সাড়ে সাত হাজার বেসরকারি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসক।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা এ হুঁশিয়ারি দেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. মেজর (অব.) আবদুল ওহাব মিনার। তিনি বলেন, আজকে সরকার দেশের মানুষকে ভালো চিকিৎসাসেবা দেওয়ার কথা বলছে। অথচ যিনি সেবাটা দেবেন, তাঁর জীবনই মানবেতর, দুর্বিষহ। তাঁরা খুবই নাজুক পরিস্থিতিতে দিনাতিপাত করছেন। সরকারের উচিত তাঁদের দাবি মেনে চিকিৎসাসেবায় মনোনিবেশ করতে সহযোগিতা করা।

সলিমুল্লাহ মেডিকেলের প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসক বেনজির বেলাল খান বলেন, বর্তমানে যে ভাতা দেওয়া হয়, তা দিয়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে কোনোভাবেই জীবন ধারণের ব্যয় মেটানো সম্ভব নয়।

খুলনা মেডিকেলের প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসক মাসুদুল ইসলাম আবেগতাড়িত হয়ে বলেন, আমি আজকে খুলনা থেকে ঢাকা এসেছি টাকা ধার করে। আমার সংসার আছে, ছোট সন্তান আছে। সামনে ঈদ। কীভাবে তাদের চাহিদা মেটাব– ভেবে পাচ্ছি না। কারণ আমার কাছে কোনো টাকাই নেই।

ডাক্তার তুহিন হাসান বলেন, এই মানবেতর জীবন যাপন করে আমরা ভালোভাবে চিকিৎসাসেবায় মনোনিবেশ করতে পারছি না। পিছুটান থাকলে আসলে কোনো কিছুতেই ভালোভাবে মনোযোগ দেওয়া যায় না।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসাপাতালের নন রেসিডেন্সি ডাক্তার মাহমুদা রহমান বলেন, বর্তমানে যে ভাতা দেওয়া হয়, সেটাও পেতে মন্ত্রণালয়ে আমাদের বহু ভোগান্তি পোহাতে হয়। আবার নিয়মিত পাওয়াও যায় না।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক হাবিবুর রহমান সোহাগ বলেন, চলতি অর্থবছরে দেশের স্বাস্থ্য খাতে ৬৭ শতাংশ টাকা অব্যবহৃত থাকলেও আমাদের মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে।