বিভিন্ন দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে টানা দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছেন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা। এ সময় প্রশাসনিক ভবনের ফটকে তালা লাগিয়ে দেন তাঁরা। পরে তালা ভেঙে অফিসে ঢোকেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল আলম। 

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনে এ ঘটনা ঘটে। পরে একটার দিকে তাঁরা ওই দিনের মতো আন্দোলন শেষ করেন। তবে আগামী রোববার আবারও অবরোধ করবেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব খান টিপু। 

তিনি বলেন, আমরা ইতোপূর্বে প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবিগুলো জানিয়েছিলাম। প্রশাসন আমাদের আশ্বস্ত করেছিল পরবর্তী সিন্ডিকেট সভায় দাবি মেনে নেওয়া হবে। একটি সিন্ডিকেট সভা হয়ে গেলেও প্রশাসন তা মানেনি। বুধবার আমরা অবরোধ করলেও উপাচার্য আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেননি। আজও আমরা প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে অবস্থান ও কর্মবিরতি কর্মসূচি শুরু করি। উপাচার্য আলোচনা না করে তালা কেটে অফিসে ঢুকেছেন। 

এর আগে ১৪ দফা দাবিতে বুধবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন কর্মচারীরা। তাঁদের দাবিগুলো হলো– পোষ্যদের ভর্তির ক্ষেত্রে বিভাগীয় শর্ত বাতিল করা, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের নৈশভাতা এবং সব কর্মচারীর ওভারটাইম বেসিক হারে প্রদান করা, দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে নিয়োজিত কর্মচারীদের স্থায়ী করা, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত সকল সরকারি অথবা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইভিনিং ও উইকএন্ডসহ সকল ডিগ্রির সার্টিফিকেট আমলে নিয়ে কর্মচারীদের পদোন্নতির ব্যবস্থা করা, বাস ড্রাইভারদের মতো বাস হেলপার, কন্ডাক্টরদের মাসিক ২৫০ ঘণ্টা ওভারটাইম প্রদান করা, সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির টাকা ওভারটাইম হিসেবে প্রদান, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারীদের পুরাতন বাসা ভাড়া কমানো, হল অ্যাটেনডেন্টদের উৎকালীন (ক্যাম্পাস বন্ধ থাকাকালীন তাদের কাজ) ভাতা ১২০০ টাকার পরিবর্তে দৈনিক ২৪০ টাকা হারে ওভারটাইম প্রদান করা, ক্যাম্পাসে একটি নতুন পাবলিক/প্রাইভেট ব্যাংকের শাখা খোলা ইত্যাদি।