বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের। বুধবার রাতে তাঁর একটি ফোনকল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে শোনা যায়, রেজাউল হক অন্য একজনকে বলছেন, তাঁর বিরুদ্ধে যাওয়ার ফলাফল ভালো নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে সবাই তাঁকে ভয় পেত, এখনও পায়।

এ ছাড়া ওই কলে তাঁর নিজের গ্রুপ সিএফসির অনুসারী শাখা ছাত্রলীগের উপদপ্তর বিষয়ক সম্পাদক রমজান হোসাইনকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনা নিয়েও কথা বলতে শোনা গেছে। অডিও রেকর্ডটি ফাঁস হওয়ার পর রমজানের ঘটনায় রোজাউলই জড়িত অভিযোগ তুলে রাত ১টার দিকে বিক্ষোভ করেন সিএফসি গ্রুপের নেতাকর্মীরা। ওই মিছিল থেকে রেজাউলকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার পাশাপাশি তাঁর কক্ষ ভাঙচুর করেন নেতাকর্মীরা।

৩২ সেকেন্ডের সেই অডিও রেকর্ডে রেজাউল হককে বলতে শোনা যায়,  ‘...তাকে বিভিন্ন মানুষ আয়ত্তে নিয়ে নিছে। নিজের ..... নিজেই মারি ফেলবে। রমজাইন্নারে মারতে হইছে আমার? আমারে চিটাগাং ভার্সিটির সবাই ভয় পাইতো রে ভাই, ভয় পায়। তুই শুধু আমার পাশে থাক। বাকি কাজ অটো হয়ে যাবে। রমজাইন্নারে কোপ পড়ছে না? অনেক লাফাইছে না? লাফাইছে রমজান। ওই হিসাবে পড়ি গেছে। সব কিছু মুখে বলতে হবে কেন? চুপ করে থাক না। আমারে দাঁড়াইতে দে। দেখবি অনেকে অনেক হিসাবের মধ্যে হয় পায়ে এসে পড়বে, নয়তো নিজের মতো নিজের হিসাব মিলাই নিবে।’

এ বিষয়ে চবি ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও সিএফসি গ্রুপের নেতা মির্জা খবির সাদাফ বলেন, ‘ছাত্রলীগ সভাপতি হয়ে তিনি নিজের গ্রুপের কর্মীকেই অন্য গ্রুপ দিয়ে মার খাওয়াচ্ছেন। এমন সভাপতি পুরো ছাত্রলীগের দায়িত্ব নিয়ে থাকতে পারেন না। তাই আমরা চাই, তাঁর নেতৃত্বে থাকা এই কমিটি দ্রুত বিলুপ্ত করা হোক।’

এ বিষয়ে জানতে রেজাউল হক রুবেলকে কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের রাজনীতি দীর্ঘদিন ধরে দুটি পক্ষে বিভক্ত। একটি পক্ষ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী, আরেকটি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। দুটি পক্ষ আবার ১১টি উপদলে বিভক্ত। সভাপতি রেজাউল হক ও তাঁর গ্রুপ সিএফসি মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী।