বরিশালের বানারীপাড়ায় সালিশ বৈঠকে বিশারকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম শান্তর মারধরে রায়হান (১৫) নামে নবম শ্রেণির এক ছাত্র আহত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে চাচির কাছে ক্ষমা চাইতে দেরি করায় চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে কিল-ঘুসি মেরে ও মাটিতে ফেলে পা দিয়ে আঘাত করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রায়হান ইউনিয়নের উমারেরপাড় গ্রামের বন বিভাগে কর্মরত তোফায়েল হোসেন সরদারের ছেলে। সে স্থানীয় ইউবিসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। রাতেই স্বজনরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

জানা গেছে, গত সোমবার উমারেরপাড় গ্রামের আ. সালাম সরদারের স্ত্রী ও তাঁর ছোট ভাই মিন্টু সরদারের স্ত্রীর মধ্যে হাঁস নিয়ে ঝগড়া চলছিল। এ সময় তাঁদের বড় ভাই তোফায়েল হোসেন সরদারের ঘরে মেহমান থাকায় তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে গিয়ে সম্মানের কথা বিবেচনায় নিয়ে ঝগড়া করতে নিষেধ করেন। এতে দুই ভাইয়ের স্ত্রী ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁদের সঙ্গে ঝগড়া শুরু করেন।

একপর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে মিন্টু ও রায়হান যোগ দেয়। তিন ভাইয়ের পরিবারের এ বিরোধ নিরসনে বৃহস্পতিবার রাতে হারুন সরদারের ঘরে ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল স্থানীয় কয়েকজনকে নিয়ে সালিশে বসেন। একপর্যায়ে রায়হানকে চাচির কাছে ক্ষমা চাইতে বললে সে দেরি করায় চেয়ারম্যান তাকে মারধর করেন।

বৈঠকে উপস্থিত রায়হানের চাচা আ. সালাম, মহিউদ্দিন, নান্না ও গ্রাম পুলিশ আ. সালাম সাইফুলকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। রায়হানের বাবা পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে বন বিভাগে কর্মরত তোফায়েল হোসেন সরদার তাঁর কিশোর ছেলেকে মারধরের বিচার দাবি করেছেন। তিনি কর্মস্থল থেকে ফিরে আইনগত পদক্ষেপ নেবেন বলেও জানান। 

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম শান্ত বলেন, চাচিকে লাঠি দিয়ে পেটানোয় সালিশ বৈঠকে রায়হানকে ক্ষমা চাইতে বলি। কিন্তু সে কালক্ষেপণ করায় কয়েকটা চড়-থাপ্পড় দিয়েছি। বানারীপাড়া থানার ওসি এস এম মাসুদ আলম চৌধুরী বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।