দেশ অস্থিতিশীল করতে বিএনপি রাজপথ থেকে আদালত পর্যন্ত সহিংসতা ছড়াচ্ছে- এমন অভিযোগ করে বিশিষ্টজন বলেছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে বানচাল বা প্রশ্নবিদ্ধ করাই দলটির লক্ষ্য। তাদের সঙ্গে বিচারহীনতা ও মানবাধিকারের ধোঁয়া তুলে দেশি-বিদেশি শক্তিও সক্রিয় রয়েছে। শনিবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ আয়োজিত এ সভায় তারা আরও বলেন, নির্বাচন বানচালের জন্য দেশি-বিদেশি শক্তি সচল। ড. ইউনূস, বাকস্বাধীনতা ও মানবাধিকারের কথা বলে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি সক্রিয়। নির্বাচনে যোগ্য ও সৎ প্রার্থী মাঠে থাকা দরকার।

সংগঠনের সভাপতি ডা. কামরুল হাসান খানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান, ডুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক হাবিবুর রহমান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম. হামিদ, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাত, সাংবাদিক ফরিদা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) এমডি আবুল কালাম আজাদ, আইইবির প্রেসিডেন্ট আবদুস সবুর, বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের সভাপতি ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল্লাহ আবু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিনাত হুদা, নাট্যব্যক্তিত্ব পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।

সভায় অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ইনডেমনিটি দেওয়ায় বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরি হয়েছিল। তারাই আবার এখন বিচারহীনতার কথা বলছে! যারা বাংলাদেশকে বটমলেস বাস্কেট বলেছিল, তারাও ষড়যন্ত্রে যোগ দিয়েছে।

পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে প্রশ্ন রেখে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম. হামিদ বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট যখন বোমা হামলা করে বিরোধী দলের নেতাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়, সেই বিষয়ে কি বিদেশি শক্তি নিন্দা করেছেন? ১৯৭১ সালে হত্যাযজ্ঞ নিয়ে কি তারা নিন্দা করেছেন? অতীতের অপকর্মগুলোর নিন্দা জানাতে তারা সামনে এসেছিলেন?

বর্তমান মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সমালোচনা করে অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাত বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সারা বিশ্বে গণতন্ত্র শিখিয়ে যাচ্ছে।