- বাংলাদেশ
- চার এয়ারলাইন্সের কাছে ১ হাজার ২২৩ কোটি টাকা পাবে বেবিচক
চার এয়ারলাইন্সের কাছে ১ হাজার ২২৩ কোটি টাকা পাবে বেবিচক

দেশের চার বেসরকারি এয়ারলাইন্সের কাছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) পাওনা ১ হাজার ২২২ কোটি ৯৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এয়ারলাইন্সগুলো হলো– রিজেন্ট এয়ারওয়েজ, নভোএয়ার, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ ও জিএমজি এয়ারলাইন্স।
এর মধ্যে নভোএয়ার ছাড়া অপর তিনটির কার্যক্রম বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। এ তিনটির কাছে পাওনা রয়েছে ১ হাজার ১৯২ কোটি টাকার বেশি।
রোববার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব তথ্য জানানো হয়।
কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে সদস্য মোশাররফ হোসেন, আশেক উল্লাহ, সৈয়দা রুবিনা আক্তার, কানিজ ফাতেমা আহমেদ বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পাওনা টাকা আদায়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
এর আগে কমিটির একাধিক বৈঠকে বেসরকারি এয়ারলাইন্সের কাছে বেবিচকের পাওনা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছিল। গতকালের বৈঠকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন তুলে ধরে বেবিচক। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মে পর্যন্ত হিসাবে ইউএস-বাংলা ও এয়ার এস্ট্রার কাছে কোনো পাওনা নেই। দেশে নভোএয়ার, ইউএস-বাংলা ও এয়ার এস্ট্রার কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলেও জানানো হয়।
বেবিচকের তথ্যমতে, রিজেন্ট এয়ারের কাছে ৪০৮ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার এবং জিএমজির কাছে ৩৯৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকার বেশি পাওনা আছে। ইউনাইটেড এয়ারের কাছে ৩৮৮ কোটি ৯৭ লাখ টাকার বেশি এবং নভোএয়ারের কাছে পাওনা আছে ২৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকার মতো।
এদিকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল সংস্কার কার্যক্রম তদন্তে গঠিত সাব-কমিটির প্রতিবেদনটি গতকাল কার্যবিবরণী আকারে বৈঠকে উপস্থাপিত হয়।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, সরকারি অর্থ অপ্রয়োজনে কিছু লোকের সুবিধার জন্য ব্যয় করা হয়েছে। ২৬ বর্গমিটারের কক্ষ বাড়িয়ে ৪০ বর্গমিটার করা হয়েছে। এতে ২৭২টি কক্ষের মধ্যে ৪৬টি কমে কক্ষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২৬টি। এসব কার্যক্রম অপ্রয়োজনীয়।
মন্তব্য করুন