ঢাকা সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩

পানির নিচে তলিয়ে গেছে ফসল, কৃষকের হাহাকার

পানির নিচে তলিয়ে গেছে ফসল, কৃষকের হাহাকার

পানিতে তলিয়ে গেছে ধানের ক্ষেত। ছবি: সমকাল

দিনাজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৩:৫৬ | আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৩:৫৬

অব্যাহত বৃষ্টি ও উজানের ঢলে পানির নিচে তলিয়ে গেছে দিনাজপুরের প্রায় দেড় হাজার হেক্টরেরও বেশি ফসলের ক্ষেত। আর ক’দিন পরই যেসব ধান উঠতো কৃষকের গোলায়, সেসব এখন পুরোই নষ্ট। শুধু ধানই নয়, মরিচ, বেগুন, ঝিঙ্গাসহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেতও ডুবেছে পানিতে। 

ফলে কৃষকের হাহাকারের শেষ নেই। যদিও কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, পানি নেমে গেলে দ্রুত এসব ফসল ঘরে তুললে তেমন ক্ষতি হবে না।

সরেজমিনে দিনাজপুর সদর উপজেলার মাঝাডাঙ্গা, হীরাহার, গোসাইপুরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়,  পানির নিচে ফসলের ক্ষেত। বিশেষ করে, যেসব ধান পাকা অবস্থায় রয়েছে, সেগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে।

ধান ছাড়াও মরিচ, বেগুন, ঝিঙ্গাসহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেতও ডুবেছে পানিতে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা বলছেন, তাদেরকে এবারে লোকসান গুনতে হবে পুরোদমে।

দিনাজপুর সদরের মাঝাডাঙ্গা এলাকার মকবুল হোসেন বলেন, পানিতে তলিয়ে সব শেষ হয়ে গেছে, পঙ্গু হয়ে গেলাম। কিস্তি তুলে পুকুরে মাছ ছেড়েছি, সব মাছ চলে গেছে। ফসলও ডুবে গেছে পানিতে। তিনি বলেন, এখন কিস্তি দিব কিভাবে? পানি তো আরও বাড়তেছে।

একই এলাকার গোলজার হোসেন বলেন, বিঘা পাচেক ধান লাগিয়েছিলাম। সব ধান ডুবে গেছে। সবজি ক্ষেতও তলিয়েছে। পাকা ধান কয়েকদিন ধরে পানির নিচে। এসব ধান গাজে (অঙ্কুরোদগম হয়ে) নষ্ট হয়ে যাবে। আমরা এখন কি করবো। 

শাহীন সুর আলম বলেন, গত ইরি (বোরো) ধানের আবাদ করে দাম পাইনি। এবারও আগাম জাতের ধান আবাদ করেছি, আগামী ৪/৫ দিনের মধ্যেই কাটতাম। সেই ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

সদরের হীরাহার এলাকার সোহেল মিয়া বলেন, আমার নেপিয়ার ঘাসের ক্ষেত ডুবে গেছে। তিন বিঘা মুলা করেছিলাম, ডুবে গেছে। এক বিঘা কাচা মরিচের ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। বেগুন ক্ষেতও নষ্ট হয়ে গেছে।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ নুরুজ্জামান বলেন, ১৬০০ হেক্টর জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। ধীরে ধীরে পানি নেমে যাচ্ছে। তবে যেসব ধান পাকা অবস্থায় আছে, পানি নেমে গেলে সেগুলো কাটা ও মাড়াই করে যদি শুকিয়ে নেওয়া যায়, তাহলে তেমন ক্ষতি হবে না।

আরও পড়ুন