ঢাকা বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩

নিষেধাজ্ঞা দেয় আমেরিকা, ভয় দেখায় বিএনপি

নিষেধাজ্ঞা দেয় আমেরিকা, ভয় দেখায় বিএনপি

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১১:৪২

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দেয়, আর ভয় দেখান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কী আশ্চর্য! মনে হয়, আমেরিকা বিএনপিকে ভয় দেখানোর এজেন্ট নিয়োগ দিয়েছে। আমরা কোনো দেশের নিষেধাজ্ঞা মানি না। আমরা মানি দেশের সংবিধানকে।

গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার কেরানীগঞ্জের জিনজিরা বাস রোডে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপির এক দফার সরকার পতনের আন্দোলন কর্মসূচি রাজনৈতিকভাবে প্রতিহতে আওয়ামী লীগ ঘোষিত আট দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের ক্যাপ্টেন (শেখ হাসিনা) আমেরিকায় আছেন। তিনি দেশে ফিরলে আসলে খেলা হবে। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তপশিল ঘোষণা হবে। নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, আমরাও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা দেব। আস্তে আস্তে অন্ধকার কেটে যাবে, কুয়াশা কেটে যাবে। আমেরিকার ভিসা নীতি ও নিষেধাজ্ঞা নিয়ে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ চলবে দেশের সংবিধান অনুযায়ী। একাত্তরে আমাদের হারাতে পারেনি। আজও নিষেধাজ্ঞা দিয়ে শেখ হাসিনাকে থামানো যাবে না। আমরা কারও নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করি না। আর আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা কেউ শোনেও না। ভেনেজুয়েলা, গ্যাবন ও সুদান– কোনো দেশই শোনেনি। জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞাও প্রথম সারির মোড়ল অনেক দেশ মানে না।

বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার ‘গুরুতর অসুস্থতা’র খবর জানিয়ে মির্জা ফখরুলের কান্না প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, কত মায়ের বুক খালি করে, কতজনকে স্বামীহারা ও বাবাহারা করে বিএনপি এখন নিজেই কাঁদছে। মির্জা ফখরুলের চোখে কত কান্না! সামনে আরও কান্না আছে। কাঁদতে কাঁদতে বাংলাদেশ কান্নার দরিয়া হয়ে যাবে, তবুও বিএনপির ক্ষমা নেই। পিতৃহত্যা, মাতৃহত্যার প্রতিশোধ আমরা নেব। বাংলাদেশের মানুষও বিএনপিকে ক্ষমা করবে না।

তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার অসুস্থতার চেয়ে বিএনপি রাজনীতি করছে বেশি। বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিচ্ছেন। অথচ তাঁর মুক্তির জন্য ৪৮ মিনিটেরও একটা আন্দোলন করতে পারেননি তারা। বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, খেলা হবে জোরদারভাবে। ফাইনাল খেলার জন্য প্রস্তুত হয়ে যান। আওয়ামী লীগের কোনো কর্মীর গায়ে আঘাত করলে এবার পাল্টা আঘাত করা হবে। কর্মীদের বাড়িতে হামলা করলে পাল্টা হামলা করা হবে। কোনো অবস্থায়ই ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কারও কাছে মাথা নত করে না। বিএনপি ঢাকা শহর দখল করতে চায়! কীভাবে তারা ঢাকা দখল করে, সেটা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে আওয়ামী লীগ। লাল-সবুজের পতাকা নিয়ে আওয়ামী লীগ সারাদেশ দখল করবে।

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল-আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান এনাম, কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাজি সাকুর হোসেন, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ম ই মামুন, হাজি ইকবাল হোসেন চেয়ারম্যান প্রমুখ।

আরও পড়ুন