ঢাকা বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩

প্রস্তাব মানতে পারেননি তামিম

প্রস্তাব মানতে পারেননি তামিম

তামিম ইকবাল। ছবি: ফাইল

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১২:৪১ | আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৫:১৪

আফগানিস্তানের বিপক্ষে একটা ওয়ানডে খেলে তামিম ইকবালের অবসর নেন। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে অবসর ভেঙে ফিরে আসের। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ম্যাচ খেলেছেন। এরপর বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়েছেন। তিন-চার মাসের একটি ধারাবাহিক নাটকে তামিম ইকবাল যেন অভিনেতার ভূমিকা পালন করে গেছেন।

গল্পের প্রধান চরিত্রে থেকেও ট্র্যাজিক হিরো। তিনি নাম ভূমিকায় অভিনয় করলেও যে গল্পের পরিচালক অন্য কেউ। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল ঘোষণা এবং দল ঢাকা ছাড়ার পর ভিডিও বার্তায় ওই গল্পের ইতি টানলেন তামিম। জানিয়ে দিলেন তার সঙ্গে যা ঘটেছে তা পরিকল্পিত। 

বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়ার ব্যাখ্যায় বিসিবির নির্বাচকরা জানিয়েছেন, ফিজিও রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বকাপের মতো লম্বা ইভেন্টে তামিম খেলার জন্য ফিট নন। তবে তামিম জানিয়েছেন, ফিজিও রিপোর্টে তার বিশ্বকাপে খেলতে বাধা ছিল না। তিনিও কোথাও বলেননি তিনি পাঁচ ম্যাচের বেশি খেলতে পারবেন না। 

বিসিবির নির্বাচক বলেছেন, টিম ম্যানেজমেন্ট তামিমের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোচ-অধিনায়ক, তিন নির্বাচক ও ফিজিও মিলিয়ে আলোচনা করেছেন। কিন্তু তামিমের কথা থেকে পরিষ্কার হয়েছে, টিম ম্যানেজমেন্ট নয় বোর্ডের শীর্ষ পর্যায় থেকে তাকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেজন্য নানান ছলা-কলার আশ্রয় নেওয়া হয়েছে।

বোর্ডের শীর্ষ পর্যায়ের একজনের সঙ্গে আলাপই তামিমের বিশ্বকাপ দলে না থাকার কারণ। বিষয়টি পরিষ্কার করে তামিম বলেছেন, “বোর্ডের শীর্ষ পর্যায় থেকে আমাকে ফোন করলেন। নাম বলছি না। তিনি বললেন, ‘তুমি তো বিশ্বকাপে যাবা, তোমাকে ম্যানেজ করে খেলতে হবে। প্রথম ম্যাচ (আফগানিস্তানের বিপক্ষে) খেলো না।” 

ওই প্রস্তাবে তামিমের রাজী হওয়ার কথা না। তিনি হনওনি, “আমি বললাম প্রথম ম্যাচ এখনও ১২-১৩ দিনের ব্যাপার। তখন বললেন, ‘তুমি যদি খেলো, তোমাকে নিচে ব্যাটিং করতে হবে।’ আমি এই বিষয়টি ভালোভাবে নিইনি। উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিলাম। ১৭ বছর ধরে আমি এক পজিশনে খেলছি। অন্য পজিশনে কখনও ব্যাটিংই করিনি। ওই অভিজ্ঞতাই নেই।”

তামিম দাবি করেছেন, তিনি অবসর ভাঙা থেকে শুরু করে একটার পর একটা জিনিস ঠিকঠাক করেছেন। তখন নতুন নতুন ঝামেলায় ফেলা হয়েছে তাকে, ‘আমাকে জোর করে অনেক জায়গায় বাধা দেওয়া হচ্ছিল। তখন আমি বললাম, আপনাদের এমন চিন্তা থাকলে আমাকে বিশ্বকাপে পাঠায়েন না। আমি নোংরামির মধ্যে থাকতে চাই না। আমি নোংরামি মানতে পারবো না।’

অথচ তামিম বিশ্বকাপ খেলার জন্য লন্ডনে চিকিৎসা নিয়েছেন, ইনজেকশন নিয়েছেন। মাঠে ফিরতে তিন-চার মাস কঠোর পরিশ্রম করেছেন। প্রতিটি বক্সে টিক মার্ক তুলেছেন। ফলস্বরূপ শূন্য হাতে দাঁড়িয়ে তিনি, ‘গত তিন-চার মাস খুব কঠিন ছিল। একটা ইনসিডেন্ট, দুইটা মিস আন্ডারস্টাডিং হতে পারে। কিন্তু একজনের সঙ্গে তিন-চার মাসে সাত-আটটা ঘটনা ঘটলে সেটা ইন্টেনশনালি (পরিকল্পিত)।’

আরও পড়ুন