ঢাকা বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩

প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা

৫০০ বছর পরেও শেখ হাসিনা থাকবেন: দীপু মনি

৫০০ বছর পরেও শেখ হাসিনা থাকবেন: দীপু মনি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা। ছবি: সমকাল

প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৫:২৯ | আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৫:২৯

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা নামটিই সব গুণাবলী ধারণ করে। বঙ্গবন্ধু কন্যার মধ্যে সব গুণই নিহিত। কী অসীম মমতায় তিনি বড়দের সম্মান করেন। শিক্ষককে কী করে সম্মান করা যায় সেটি তাঁর মধ্যে ভীষণভাবে রয়েছে। এমন একটা সময় আসবে যখন শেখ হাসিনা নামে সারা বিশ্বের মানুষকে আমরা পুরস্কৃত করতে পারব। ৫০০ বছর পরেও শেখ হাসিনা থাকবেন। তাঁর নাম তখন অনেকেই গর্ব করে বলবেন।’

বৃহস্পতিবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় সাহসী নেতৃত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বিশিষ্টজনরা বলেন, দেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতে শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা আজ ঐক্যবদ্ধ। অতীতে দেশের ক্রান্তিলগ্নে শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা যে ধরনের ভূমিকা পালন করেছিলেন, আজও ঐক্যবদ্ধভাবে সকল অপশক্তিকে মোকাবিলা করা হবে।  

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশের সব কিছু বঙ্গবন্ধু কন্যার মাথায় থাকে। তিনি কোনো কিছুই ভুলেন না। তাঁর স্মরণ শক্তি এতো বেশি যা বলে শেষ করা যাবে না। দেশবাসীকে উন্নত জীবন দেওয়ার জন্য যা যা করা দরকার তার সব তিনি করছেন। শেখ হাসিনা স্বপ্ন দেখেছেন এবং স্বপ্ন দেখিয়েছেন। 

সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ভয়াল ঘটনা বাঙালির জন্য মর্মান্তিক, দুঃখজনক ও ভয়ানক অভিজ্ঞতা। যত উন্নয়নই হোক না কেন- এ ব্যথা ও কলঙ্ক থেকে বাঙালি কোনোদিন মুক্তি পাবে না। সেদিন বেলজিয়ামে দুই বোন ছিলেন। ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। অত্যন্ত কঠিন দিন পার করেছেন। এসব দিনগুলোর কথা হয়তো বা কিছু কিছু শুনেছি। অনেক অজানা গল্প রয়ে গেছে। 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা যদি ১৯৮১ সালে বাংলাদেশে না আসতেন, আজ বাংলাদেশে কী হতো। বিরাজ করত গণতন্ত্রহীন, সামরিক শাসনের যাঁতাকল। পঁচাত্তর থেকে শুরু করে নব্বইয়ের ভোট এবং ভাতের অধিকারের স্লোগান তিনি নিশ্চিত করেছেন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে। বঙ্গবন্ধু কন্যা ফিরে না এলে দেশ আজ মিয়ানমার এবং পাকিস্তানের চেয়ে খারাপ অবস্থায় থাকত। একদিনে যে দেশের সব জেলায় বোমা হামলা হয়, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে হামলা হয়, উদীচীর অনুষ্ঠানে হামলা হয়, রমনার বটমূলে হামলা হয় তা জাতি দেখেছে। সবকিছুর জবাব শেখ হাসিনা এক হাতে দিয়েছেন। তিনি যদি ফিরে এসে জঙ্গিবাদ নির্মূল না করতেন তাহলে বাংলাদেশ হতো জঙ্গিবাদের উদার ক্ষেত্র। গণতন্ত্র আর অর্থনৈতিক দুর্দশায় শ্রীলঙ্কার চেয়ে বেশি দুর্দশায় পড়তাম আমরা।’ 

সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাশুরা হোসেন। এছাড়া আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. নিজামউদ্দীন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। 

আরও পড়ুন