ঢাকা মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সালমান-আনিসুলের রিমান্ড নিয়ে প্রশ্ন ডেভিড বার্গম্যানের

সালমান-আনিসুলের রিমান্ড নিয়ে প্রশ্ন ডেভিড বার্গম্যানের

ডেভিড বার্গম্যান। ছবি: সংগৃহীত

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২৪ | ২০:৪৩

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের রিমান্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রখ্যাত ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান। 

বুধবার ফেসবুকে দীর্ঘ পোস্টে তিনি লিখেছেন, সরকার পরিবর্তন হলেও বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং আদালতের আচরণে তেমন পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না। বুধবার আদালত পুলিশের আবেদনের ভিত্তিতে সালমান ও আনিসুলকে ১০ দিনের জন্য রিমান্ডে পাঠিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তারা হত্যাকাণ্ডের ‘উস্কানিদাতা’। 

সংবিধানপ্রণেতা ড. কামাল হোসেনের জামাতা বার্গম্যান দীর্ঘদিন বাংলাদেশে কর্মরত ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সোচ্চার। এ জন্য তাঁকে বিএনপি-জামায়াতের দালাল বলে সমালোচনা করত আওয়ামীপন্থিরা।
  
ফেসুবকে বার্গম্যান লিখেছেন, যদিও এখনও মামলার এফআইআর আমার দেখা হয়নি, তবে এটি অনেকটা আগের সরকারের আমলে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে পুলিশের করা মিথ্যা মামলার মতো বলে মনে হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় পুলিশ বারবার বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করত যে, তারা অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত। 

তিনি লিখেছেন, কোনো সন্দেহ নেই– ২৪ বছর বয়সী দোকানকর্মী শাহজাহান আলীকে ১৬ জুলাই পুলিশ হত্যা করেছে। তবে এই হত্যার ঘটনায় সালমান ও আনিসুলের সরাসরি জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া কঠিন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে মূলত আওয়ামী লীগ সরকারের সদস্য হওয়ার কারণে।

তিনি আরও লিখেছেন, বিএনপি-জামায়াতপন্থি আইনজীবীরা আদালতে আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবীকে দাঁড়াতে দেননি। আসামিদের প্রতিনিধিত্ব করতে আসা দুই আইনজীবীকে আদালতে মারধর করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে বিচারক কীভাবে বিচার প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে দিলেন– তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

বার্গম্যান বলেন, এ ধরনের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং মিথ্যা মামলা চলতেই থাকবে, যদি না পুলিশ এবং আদালতকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে আইন প্রয়োগের জন্য সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়।

তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে এ দুই ব্যক্তি অপরাধ করে থাকতে পারেন। সে জন্য যথাযথ তদন্ত করে প্রমাণ সংগ্রহ এবং তার ভিত্তিতে মামলা করা উচিত।

বার্গম্যান লিখেছেন, কোনো সরকার কীভাবে নিজের সবচেয়ে বড় হুমকির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়, তা দেখে সেই সরকারকে মূল্যায়ন করা হয়। এখন পর্যন্ত এ ধরনের ফৌজদারি মামলা সরকারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। যদি এটি নিয়ন্ত্রণ করা না হয়, তাহলে নতুন সরকার মানবাধিকারের কোনো দাবি করতে পারবে না।

আরও পড়ুন

×