বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের চুক্তি যাচাইয়ে হবে স্বাধীন কমিটি

প্রতীকী ছবি
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২৪ | ০২:৪০
আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে স্বাক্ষরিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের চুক্তি যাচাই-বাছাই করতে একটি স্বাধীন কমিটি গঠন করা হবে। এ খাতের কোম্পানির বোর্ডে ছাত্র প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা হবে। একান্ত অপরিহার্য না হলে এসব কোম্পানিতে সচিবরা আর চেয়ারম্যান হতে পারবেন না।
জ্বালানি বিভাগের আওতাধীন কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এ কথা জানান। গতকাল বুধবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পেট্রোবাংলা মিলনায়তনে এ মতবিনিময় হয়।
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, বেশি বেশি বিদ্যুৎকেন্দ্র আর বেশি দামে জ্বালানি কেনা নয়। সাধারণ মানুষের সেবা কতটা নিশ্চিত হলো, তার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার করা হবে। সুলভ মূল্যে গ্যাস সরবরাহ, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের মতো গ্রাহকসেবা দেখে বিবেচনা করা হবে, কতটা সফল বা উন্নতি হচ্ছে এই খাতে।
বিদ্যুৎ ও গ্যাস আমদানির প্রতি ইঙ্গিত করে ফাওজুল কবির বলেন, ‘আমরা যা কিছুই কিনি, বেশি দামে কিনি। ভারত আমাদের চেয়ে কম দামে গ্যাস-বিদ্যুৎ কেনে। আবার কেনার সময় অনেক ক্ষেত্রে ডিসকাউন্ট (মূল্যছাড়) পায়। কিন্তু আমরা তা পাই না কেন?’ আগের চুক্তি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিশেষ আইনে অনেক চুক্তি হয়েছে। এগুলোতে অনিয়ম হয়েছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করতে আমরা শিগগির স্বাধীন একটি কমিটি গঠন করে দেব। আমাদের সময় দিতে হবে।
জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণের ফর্মুলায় অনেক ‘হিডেন কস্ট’ নিয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
এলএনজি আমদানির বিষয়ে জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ভাসমান এলএনজি নিয়ে অনেক সমস্যা হচ্ছে। সামিটের এলএনজি নিয়ে এখন কী হচ্ছে, তা আপনারা জানেন। আমি সামিটকে বলেছি, কী লাগবে বা কী করতে হবে, সেটা আমার বিষয় না। আমার বিষয়, আমি কবে গ্যাস পাব। তখন তারা একটা সময় আমাদের বলেছে।
দেশের সব নাগরিক সমহারে বিদ্যুৎ-জ্বালানি পাবেন উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, যারা ঢাকায় বসবাস করেন তারা মানুষ, আর অন্য এলাকার বাসিন্দারা মানুষ না, এটা হতে পারে না। খুলনায় আমরা ৮৮০ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছি, কিন্তু সেখানে গ্যাস দিতে পারছি না। এটা কোন ধরনের পরিকল্পনা হলো! গ্যাসের সংস্থান না করেই বিদ্যুৎকেন্দ্র কেন নির্মাণ করা হলো?
তিনি বলেন, আমরা শুরুতে এসেই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বিশেষ আইন ২০১০ স্থগিত করেছি। এ আইনের ফলে বিদ্যুতের দাম বেড়ে গেছে। গণশুনানি না করেই বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর নীতি নিয়েছিল সাবেক সরকার। আমরা তা বাতিল করেছি। তবে সাবেক সরকারের সবকিছুই খারাপ বলে মনে করি না। আমরা তাদের সমালোচনা না করে সামনে এগিয়ে যেতে চাই।
- বিষয় :
- বিদ্যুতায়ন
- বিদ্যুৎ