গাঁজা কি কেবল মাজারে খাওয়া হয়?, প্রশ্ন ফরহাদ মজহারের

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাববৈঠকির আয়োজনে ‘মাজারে হামলার প্রতিবাদে ফকিরি গান এবং ভাব আলোচনা’। ছবি: সমকাল
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৮:৫৭
কবি ফরহাদ মজহার বলেছেন, ‘মাজার ভাঙা একটি ফৌজদারী অপরাধ। এক্ষেত্রে সরকার শিথিলতা দেখাচ্ছে। ফলে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।’
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাববৈঠকির আয়োজনে ‘মাজারে হামলার প্রতিবাদে ফকিরি গান এবং ভাব আলোচনা’—সভায় তিনি এ সব কথা বলেন। গান আলোচনায় আরও অংশ নেন আলেয়া বেগম, সুনীল কর্মকার, ছোট আলম সরকার, শাহ আলম সরকার, ওমর আলী ও বাউল ফকির আলাউদ্দিন জালালি, জনি বাউল কোহিনুর আক্তার গোলাপি সুধাম আনন্দ প্রমুখ। উদ্বোধনী গান পরিবেশন করেন ফকির আবুল সরকার।
ফরহাদ মজহার বলেন, বাংলাদেশে আবারও ফ্যাসিস্ট আক্রমণ হবে, তা আমাদের প্রত্যাশা ছিল না। ইসলামের সঙ্গে মাজার ভাঙার কোনো সম্পর্ক নেই। এটা কেবল বিশৃঙ্খলা তৈরির জন্য। আমাদের নতুন বাংলাদেশকে যারা নস্যাৎ করতে চায়, মাজারে হামলাকারীরা সে শক্তির প্রতিনিধিত্ব করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের কোনো আলেম-শায়েখ মাজার ভাঙার পক্ষে বলেন না। মতপার্থক্য থাকতে পারে। সবাই একরকম বুঝলে বাংলাদেশে এত ইসলামী রাজনৈতিক দল থাকত না। বিশ্বে এতরকম ইসলামী রাষ্ট্র থাকত না। ফলে আপনারা মুখোশ পরে নাচবেন না। কারণ আপনারা সে শক্তি, যাদেরকে তরুণরা লাত্থি দিয়ে দিল্লিতে পাঠিয়ে দিয়েছে।
ফরহার মজহার প্রশ্ন তোলেন, গাঁজা কি কেবল মাজারে খাওয়া হয়? বাংলাদেশের সব বড় বড় হোটেলে গাঁজা খাওয়া হয়। অবৈধ কাজ হয়। তারা কী সেসব ভাঙতে গিয়েছেন! যাননি। কারণ মাজার ভাঙা সহজ।
ফরহাদ মাজহার বলেন, আপনি সহি আর সকলে মিথ্যা; এটা ফ্যাসিস্ট মনোভাব। ফলে যারা মাজার ভাঙছে, তারা একটা ফ্যাসিস্ট শক্তি। আর আমাদের এখানে পরকাল ব্যবসায়ী আছে, যারা নিজেরা আল্লাহ হয়ে জান্নাত-জাহান্নামের সার্টিফিকেট দেয়।
শিল্পী মানিক দেওয়ান বলেন, যারা মাজার ভাঙতে চান, তাদের মূল উদ্দেশ্য বাজার ভাঙা। যে সরকারই থাকুন, তাদের স্থানীয় রাজনীতিকরা এটা নিয়ন্ত্রণ করেন। এছাড়া ভারত গাঁজার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে।
শিল্পী শাহীন আহমেদ বলেন, আপনারা মাজার না ভেঙে সংস্কারের কথা বলুন। কারণ মাজারে অলি-আউলিয়ারা আছেন। তারাই বাংলাদেশে ইসলাম প্রচার করেছেন।
- বিষয় :
- মাজার
- মাজারে হামলা
- শহীদ মিনার