লাল-হলুদ-সবুজ
রূপরেখা প্রস্তুত, চলতি সপ্তাহেই কার্যকর

রাজবংশী রায়
প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২০ | ১২:০০ | আপডেট: ০৬ জুন ২০২০ | ১৬:২৪
করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি ক্রমাগত বাড়তে থাকায় দেশ আবারও অঞ্চলভিত্তিক লকডাউনের পথে হাঁটছে। তবে আগের মতো একযোগে সারাদেশ লকডাউন করা হবে না। সংক্রমণের হার বিবেচনায় নিয়ে পাড়া, মহল্লা, ওয়ার্ড ও এলাকাভিত্তিক সারাদেশকে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন- এই তিন জোনে ভাগ করে লকডাউন করা হবে। কক্সবাজারকে রেডজোন হিসেবে চিহ্নিত করে ইতোমধ্যে লকডাউন করা হয়েছে।
সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়ে লকডাউনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জীবন ও জীবিকার সমন্বয় করে অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সরকার এ সিদ্ধান্ত নেয়। সরকারের ওই সিদ্ধান্তের পরই স্বাস্থ্য বিভাগের বিশেষজ্ঞরা পুরো বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন। এক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লকডাউন প্রক্রিয়া নিয়ে বিশ্নেষণ করে রূপরেখা প্রস্তুত করা হয়েছে। এখন এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো সমন্বয় করার কাজ চলছে। সবকিছু চূড়ান্ত হওয়ার পরই এটি কার্যকরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে সারাদেশে রেডজোন এলাকাগুলোতে ২১ দিন লকডাউন কার্যকর করার চিন্তাভাবনা চলছে। সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনা করে এ বিষয়ে পরবর্তী সময়ে করণীয় নির্ধারণ করা হবে। এই রেডজোনের কোনো মানুষকে বের হতে দেওয়া হবে না। আবার অন্য মানুষকে এই জোনে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এবার ব্যাপক কড়াকড়ি আরোপ করা হবে।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র বলছে, প্রথমে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জসহ কয়েকটি এলাকায় আজ রোববার অথবা সোমবার থেকে লকডাউনের ঘোষণা আসতে পারে। ঢাকার বাইরে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে সিদ্ধান্তটি কার্যকরের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে ঢাকার মধ্যে রাজাবাজার ও ওয়ারী এলাকায় পাইলট প্রকল্প হিসেবে প্রথমে লকডাউন কার্যকর করা হতে পারে। এই দুই এলাকাকে সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে লকডাউন করার আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ও ফোকাল পারসন হাবিবুর রহমান খান সমকালকে বলেন, জোন চিহ্নিত করার প্রক্রিয়াটি প্রায় চূড়ান্ত। এখন মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে সমন্বয় করার কাজ চলছে। এরপর বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
হাবিবুর রহমান খান বলেন, হটস্পট বা ক্লাস্টার এলাকা বিবেচনায় পাড়া, মহল্লা ও ওয়ার্ড লকডাউন করা হবে। প্রাথমিকভাবে উচ্চ সংক্রমিত অঞ্চল রাজধানী ঢাকার কয়েকটি এলাকায় পাইলট প্রকল্প আকারে কার্যক্রম শুরু হবে। পরবর্তীকালে পরিস্থিতি বিবেচনা করে অন্য জেলাগুলোতে এলাকাভিত্তিক লকডাউন কার্যকর হবে।
এই কার্যক্রমে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সহায়তা নেওয়ার কথা তুলে ধরে হাবিবুর রহমান খান বলেন, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোন ভাগ করার ম্যাপিং শুরু করা হয়েছে।
জোন ভাগের প্রক্রিয়া : স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সারাদেশকে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে ভাগ করার প্রক্রিয়া নিয়ে গতকাল শনিবার দিনভর বৈঠক করেন। ওই বৈঠকেও লকডাউনের বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র সমকালকে জানায়, প্রতি লাখে সংক্রমণের হার কতো হলে তা বিভিন্ন জোনে ভাগ করা হবে তা নিয়ে দিনভর আলোচনা হয়। সেই অনুযায়ী ঢাকা ও ঢাকার বাইরে পৃথক সংক্রমণের হার বিবেচনায় নিয়ে জোনগুলো ভাগ করা হয়। সে অনুযায়ী, ঢাকায় প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে ৩০ জন আক্রান্ত হলে তাকে 'রেড' জোন বলে ধরা হবে। আক্রান্তের সংখ্যা প্রতি লাখে ৩ থেকে ২৯ হলে তা 'ইয়েলো' জোন এবং আক্রান্তের সংখ্যা প্রতি লাখে শূন্য থেকে ২ হলে তা 'গ্রিন' জোন হিসেবে বিবেচিত হবে।
ঢাকার বাইরে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতি লাখে ১০ জন হলে তা 'রেড' জোন বিবেচনা করা হবে। এছাড়া আক্রান্ত প্রতি লাখে ৩ থেকে ৯ জন হলে তা 'ইয়েলো' জোন এবং আক্রান্তের সংখ্যা শূন্য থেকে ২ জন হলে তা 'গ্রিন' জোন বলে বিবেচিত হবে। রেড জোনে লকডাউন করা হবে। সেখান থেকে কেউ বাইরে বের হতে পারবে না। আবার বাইরে থেকে কেউ ওই এলাকায় প্রবেশও করতে পারবে না। ইয়েলো জোনে অবরুদ্ধ থাকবে। ইয়েলো জোনে বসবাসকারীরা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয়ের জন্য আইডি কার্ড প্রদর্শন করে বের হতে পারবে। আবার কর্মস্থলে যাওয়ারও সুযোগ পাবে। তবে ইয়েলো জোন থেকে রেড জোন কিংবা দেশের অন্যত্র চলাচল করতে পারবে না। গ্রিন জোনে স্বাভাবিক কার্যক্রম চলবে। তবে রেড ও ইয়েলো জোন থেকে কাউকে ওই এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। একই সঙ্গে গ্রিন জোন থেকেও কেউ রেড ও ইয়েলো জোনে প্রবেশ করতে পারবে না।
এখনও জোন চূড়ান্ত হয়নি : এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকা জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা সমকালকে বলেন, পুরো প্রক্রিয়াটিই রোগতাত্ত্বিক বিষয়। সুতরাং প্রক্রিয়াগত বিষয়গুলো আলোচনা চলছে। সব বিষয় এখনও প্রস্তাব আকারে আছে। কোনোকিছুই চূড়ান্ত হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইনসহ অন্য বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে পুরো প্রক্রিয়াটি নিয়ে বিচার-বিশ্নেষণ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে কতোটি নমুনার মধ্যে কতোটি পজিটিভ হলো, জনসংখ্যার ঘনত্ব, ভৌগোলিক অবস্থান, সার্ভিস ডেলিভারি- এসব বিষয় বিবেচনা করা হচ্ছে।
ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা আরও বলেন, এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে কেবল স্বাস্থ্য বিভাগের বাইরে স্বরাষ্ট্র, খাদ্য, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়সহ অনেক বিভাগ যুক্ত আছে। জোনভিত্তিক কার্যক্রম সমন্বয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রয়োজন হবে। ওই এলাকায় সংশ্নিষ্টদের খাবার সরবরাহ করতে হবে। এভাবে অনেক কার্যক্রমের সমন্বয় করতে হবে। সুতরাং এসব বিষয় চূড়ান্ত হওয়ার পরই প্রক্রিয়াটি কার্যকরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সহায়তা নেওয়া হবে আইসিটি মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসির :আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্তকরণ ও তাদের চলাচল অ্যাপসের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট এলাকার মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী কোনো ব্যক্তি অন্যত্র চলাচল করলে ওই অ্যাপসে তা ধরা পড়বে। এ বিষয়ে আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, আইসিটি বিভাগের সহায়তায় সংক্রমণের ম্যাপিং করা হচ্ছে। এতে করে জোনভিত্তিক এলাকাগুলোকে ভাগ করা সহজ হবে। ডিজিটাল মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী সবাই এর আওতায় আসবে। এ ছাড়া এনালগ ফোন ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে বিটিআরসি নজরদারি করবে। সুতরাং মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই ব্যক্তির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাস্তবায়নের আগে কৌশল নির্ধারণ ও সমন্বিত কার্যক্রম প্রয়োজন- মত বিশেষজ্ঞদের :জোনভিত্তিক এলাকাগুলোকে ভাগ করে করোনা প্রতিরোধের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাকে স্বাগত জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তবে এজন্য তারা সরকারের প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত কার্যক্রম দেখতে চান। একই সঙ্গে কঠোরভাবে প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়নে সরকারকে উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম সমকালকে বলেন, রেড জোনে পুরোপুরি লকডাউন দেওয়া হবে; কিন্তু ওই লকডাউন দেওয়ার আগে সেই এলাকায় বসবাসকারী জনসাধারণকে প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী মজুদ করে রাখার নির্দেশনা দিতে হবে। এজন্য অন্তত একদিন আগে ঘোষণা দিতে হবে। একই সঙ্গে ওই এলাকায় বসবাসকারী দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের খাবারসহ অন্যান্য সংস্থান কীভাবে করা হবে, সে বিষয়ে কার্যকর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
ডা. নজরুল ইসলাম আরও বলেন, গত ২৬ মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। ওই ছুটির পর সাধারণ মানুষ গ্রামে ফিরে গেছেন। এরপর মাঝখানে গার্মেন্টস মালিকরা ছুটি প্রত্যাহার করে শ্রমিকদের কর্মস্থলে নিয়ে আসেন। আবার তাদের ফেরত পাঠানো হয়। আবার ঈদের আগে সবকিছু খুলে দেওয়া হলো। হাজার হাজার মানুষ গ্রামে ফিরে গেলেন। ছুটি শেষে আবারও ঢাকার ফিরে এলেন। এভাবেই ৬৬ দিন ছুটির পর গত ৩১ মে সবকিছু খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। যে উদ্দেশ্য নিয়ে ওই ছুটি দেওয়া হয়েছিল, তা কাজে আসেনি। সুতরাং ওই প্রক্রিয়ায় লকডাউন দিলে কোনো সুফল আসবে না।
রাজধানীর টোলারবাগ ও মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার মডেলকে কাজে লাগানোর পরামর্শ দিয়ে এই ভাইরোলজিস্ট বলেন, শুরুর দিকে সংক্রমিত জোন টোলারবাগ ও শিবচরে লকডাউন দেওয়া হয়েছিল। এই দুই এলাকায় কার্যকর লকডাউনের কারণে সংক্রমণ বাড়েনি। কিন্তু দেশের অন্য কোথাও এই প্রক্রিয়ায় লকডাউন কার্যকর হয়নি। সুতরাং টোলারবাগ ও শিবচরকে মডেল ধরে এগোতে হবে। তাহলে সুফল মিলতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক সমকালকে বলেন, জোনভিত্তিক কার্যক্রম শুরুর আগে সুনির্দিষ্ট কৌশল নির্ধারণ করতে হবে। বিশেষ করে রেড থাকা এলাকার মানুষকে আগেভাবে অবহিত করতে হবে। ওই সময় তারা কী করতে পারবেন, কী করতে পারবেন না- এ সম্পর্কিত বার্তা জানাতে হবে। একই সঙ্গে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কীভাবে সরবরাহ করা হবে, তাও উল্লেখ থাকতে হবে। কারণ ওই এলাকায় থাকা দরিদ্র মানুষের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তার ব্যবস্থা করতে হবে।
কয়েকটি সুনির্দিষ্ট পরামর্শ দিয়ে ডা. মোজাহেরুল হক বলেন, রেড জোনে থাকা প্রত্যেকটি এলাকাকে নূ্যনতম ২১ দিন লকডাউন রাখতে হবে। এই সময়ে ওই এলাকার প্রত্যেক মানুষের নমুনা পরীক্ষা করে পজিটিভ ব্যক্তিকে আইসোলেশনে নিতে হবে। একই সঙ্গে ইয়েলো জোনের ব্যক্তিদেরও নমুনা পরীক্ষা করে একইভাবে আইসোলেশনে রাখতে হবে। ইয়েলো জোনে থাকা ব্যক্তিদের একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রত্যেক পরিবার থেকে জরুরি প্রয়োজনে একজনকে বাইরে বের হওয়ার সুযোগ রাখতে হবে। পুরো প্রক্রিয়াটি সমন্বিতভাবে করতে হবে। অন্যথায় সুফল আসবে না।
কর্তৃপক্ষের বক্তব্য : সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সমকালকে বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আমরা পর্যালোচনা করছি। স্বাস্থ্য বিভাগের পাশাপাশি সংশ্নিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর কর্মকর্তারা বৈঠক করে রূপরেখা তৈরি করেছেন। অনেক প্রস্তাব এসেছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। পুরো প্রক্রিয়া শেষ করে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, দেশের সব জায়গায় সমান হারে সংক্রমণ ছড়ায়নি। অনেক উপজেলা এখনও সংক্রমণমুক্ত রয়েছে। সুতরাং সারাদেশে লকডাউন দেওয়ার প্রয়োজন নেই। সংক্রমণের ভিত্তিতে তিনটি জোনে ভাগ করে কার্যক্রম চালানো হবে। এতে করে জীবন ও জীবিকার সমন্বয় করে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা সম্ভব হবে। এসব বিষয় চিন্তাভাবনা করেই সরকার পাড়া-মহল্লা ও এলাকা ভাগ করে কার্যক্রম চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মাধ্যমেই করোনা প্রতিরোধে সুফল মিলবে বলে মনে করে তিনি।