বিপুল জায়গা হাতছাড়া মহাপরিকল্পনা আটকা
কোলাজ
যোবায়ের আহমদ
প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪ | ০১:৪৭
সংকটের গ্যাঁড়াকলে পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলগুলোতে এক সিটে ঘুমান দুই শিক্ষার্থী। পড়ার টেবিলও দু’জনের একটি। এটাই প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক আবাসিক শিক্ষার্থীর যুগ যুগের নিয়তি। ছাত্রছাত্রীরা এমন ক্লেশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন পার করলেও কারও যেন দৃষ্টিপাত নেই।
তবে নতুন আবাসিক হলসহ অবকাঠামোর বিষয়ে কর্তৃপক্ষ মহাপরিকল্পনা নিলেও বাস্তবায়ন বহুদূর। ঢাবি প্রশাসনের মহাপরিকল্পনায় বড় বাধা ভবন নির্মাণে জায়গার স্বল্পতা। এর মধ্যে আবার বিশ্ববিদ্যালয়েরই ১২ একরের বেশি জমি হাতছাড়া হয়ে আছে। ঢাবির এস্টেট অফিসের অবহেলার কারণে এসব জমি নিয়ন্ত্রণেও নেওয়া যাচ্ছে না বলে আছে অভিযোগ। ফলে ১৯২১ সালে ৬৫০ একর জমি নিয়ে যাত্রা শুরু করা বিশ্ববিদ্যালয়টির মানচিত্র এখন ২৭৪ একরে এসে ঠেকেছে।
ঢাবির জমিতে যেসব প্রতিষ্ঠান পোদ্দারি করে যাচ্ছে এর মধ্যে রয়েছে– পরমাণু শক্তি কেন্দ্র, শিক্ষা প্রকল্প ও উন্নয়ন গবেষণা ফাউন্ডেশন (ফ্রেপড), নীলক্ষেত উচ্চ বিদ্যালয়, এশিয়াটিক সোসাইটি ও এর সংলগ্ন বঙ্গবাজারের কিছু অংশ, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির সাবস্টেশন, নীলক্ষেত ও বাবুপুরা পুলিশ ফাঁড়ি উল্লেখযোগ্য।
প্রশাসনের মহাপরিকল্পনা
অবকাঠামোর সমস্যা দূর করতে ২০২১ সালে মহাপরিকল্পনা তৈরি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে তিন ধাপে ৯৭ নতুন ভবন নির্মাণের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে একাডেমিক ভবন থাকবে ১৭টি, ছাত্রী হল আটটি এবং ছাত্রদের ১৬টি। এ ছাড়া ২২টি হাউস টিউটর ভবন, শিক্ষক ও কর্মকর্তার জন্য ১২টি, অন্য কর্মীর জন্য ৯টি ভবন থাকবে। অন্যান্য ক্যাটেগরিতে থাকবে ১৩টি ভবন।
এদিকে পুরোনো ভবন সংস্কার, টিএসসিতে বহুতল আধুনিক ভবন, লাইব্রেরি সংস্কার, বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে সোলারের আওতায় আনা, ক্যাম্পাসে হাঁটা এবং সাইকেল চলাচলের জন্য আলাদা লেন, শাহবাগ থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও চানখাঁরপুল পর্যন্ত পাতাল সড়ক নির্মাণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ সীমিত করাসহ বেশ কিছু কার্যক্রমের কথা বলা হয়েছে এই মহাপরিকল্পনায়। এটি বাস্তবায়নে প্রয়োজন হবে আরও জায়গার।
তিন একর জমিতে পরমাণু শক্তি
১৯৬১ সালে টিএসসির অদূরে তিন একর জমিতে পরমাণু শক্তি কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরবর্তী সময়ে পরমাণু শক্তি কমিশনের গবেষণা কেন্দ্র সাভারে বিশাল জায়গা নিয়ে নির্মিত হয়। ১৯৯২ সালের ১ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পরমাণু শক্তি কেন্দ্রের জায়গা ও ভবন বিশ্ববিদ্যালয়কে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তবে এ ব্যাপারে তেমন অগ্রগতি হয়নি। ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে খালেদা জিয়া ক্যাম্পাসে এলে ফের একই প্রতিশ্রুতি দেন। তবে পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রটি বুঝে পায়নি বিশ্ববিদ্যালয়।
এ ব্যাপারে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোকাব্বির হোসেন সমকালকে বলেন, এটা নিয়ম মেনেই নিশ্চয়ই স্থাপন করা হয়েছিল। আবার কিছু যন্ত্রপাতি থাকে, যেগুলো স্থানান্তরযোগ্য নয়। ফলে এটি যাচাইয়ের বিষয়। পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রশাসনিক প্রধান এটিএম গোলাম কিবরিয়া সমকালকে বলেন, গবেষণা কেন্দ্র স্থানান্তরের পর নথিগুলো এলোমেলো অবস্থায় আছে। নথি খুঁজে পেলে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারব।
চার কাঠা জমিতে ফ্রেপড ভবন
পলাশীর অদূরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চার কাঠা জমিতে শিক্ষা প্রকল্প ও উন্নয়ন গবেষণা ফাউন্ডেশন (ফ্রেপড) নামে দোতলা একটি প্রতিষ্ঠান ও মুহাম্মদ শামসউল হক ভবন তৈরি করা হয়েছে। জায়গাটি ফিরে পেতে চেষ্টা চালিয়েছিলেন প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল। সেই সময় মাকসুদ কামাল বলেছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জায়গাটি দেওয়া হয়েছিল। তবে এটি নিয়ম মেনে দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান সংকট রয়েছে, তাই এটি ফিরিয়ে নিতে চান।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত এস্টেট ব্যবস্থাপক ফাতেমা বিনতে মুস্তফা বলেন, এই জমি খালি করে বিশ্ববিদ্যালয়কে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। এটি খালি করে দিতে তাদের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।
তিন একর জমি কর্মচারীর দখলে
১৯৭৩ সালে গ্রিন রোডে ৫.৯৯ একর জমি ১৮ লাখ টাকায় কিনেছিল ঢাবি কর্তৃপক্ষ। জমির কিছু অংশে আইবিএ হোস্টেল এবং গ্রিন সুপারমার্কেট তৈরি করা হয়। এর পাশে অব্যবহৃত তিন একর জমি দখল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু কর্মচারী টিন ও কংক্রিটের দেয়ালের বাড়ি গড়ে তুলেছেন। এখন ১২৯ কর্মচারী সপরিবারে সেখানে বাস করছেন। সেখানে তিনতলা একটি মসজিদ, দুটি ক্লাব রয়েছে। কর্মচারীরা বিশ্ববিদ্যালয়কে কোনো ভাড়া দেন না। কর্মচারীদের কল্যাণ সমিতির অধীনে একটি ঘর এবং দুটি দোকান বাইরের লোকজনকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। সমিতির সভাপতি ও প্রকাশনা সংস্থার কর্মচারী আনোয়ার হোসেন বলেন, জায়গাটি পরিত্যক্ত ডোবা ছিল। সেখানে মাটি ফেলে তারা ঘর বানিয়ে থাকছেন। এই জায়গা বিশ্ববিদ্যালয় নিতে চাইলে অবশ্যই নিতে পারে।
বরাদ্দের পর থাকে না নিয়ন্ত্রণ
সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৯৭৮ সালে কর্মচারীর সন্তানের জন্য নীলক্ষেত উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় ৪৪ শতাংশ জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়। ১৯৮১ সালে বরাদ্দ দেওয়া হয় আরও ৫ শতাংশ জমি। এর আগে সেখানে প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল। এই প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্ববিদ্যালয়কে কোনো ভাড়া দেয় না। কাঁটাবন মসজিদের জায়গাটিও বিশ্ববিদ্যালয়ের। মাত্র ১ টাকা মূল্যে এটি মসজিদ মিশনকে দেওয়া হয়। মসজিদের নিচতলায় অনেক দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। এর কোনোটিই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণে নেই।
প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সময় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের প্রায় ৪০ শতাংশ জায়গায় ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির সাবস্টেশন নির্মিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়কে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করার শর্তে তাদের জায়গা দেওয়া হয়েছিল। এ জায়গার কোনো ভাড়া দেয় না তারা। এই সাবস্টেশনের পাশেই ৫ থেকে ১০ শতাংশ জায়গায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ডাস্টবিন নির্মাণ করা হয়েছে। সিটি করপোরেশনও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ভাড়া দেওয়ার প্রয়োজন মনে করে না।
দুটি থানা, ফাঁড়ির প্রয়োজন কী
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আন্দোলন ‘নিয়ন্ত্রণে’ নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ি এবং আনন্দবাজারে বাবুপুরা পুলিশ ফাঁড়ি গড়ে তোলা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় এস্টেট অফিসের তথ্য অনুযায়ী, স্যার এ এফ রহমান হলের পাশে সাড়ে ২৯ শতাংশ জায়গায় ১৯৯০ সালে নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের অনুমতি দিয়েছিলেন তৎকালীন উপাচার্য। প্রায় একই সময়ে ৬৪ শতাংশ জায়গায় বাবুপুরা পুলিশ ফাঁড়ি করা হয়। তবে নিউমার্কেট ও শাহবাগ থানা স্থাপনের পর ফাঁড়িগুলোর প্রয়োজন নেই বলে অনেকেই মনে করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো মহাপরিকল্পনায় ফাঁড়িগুলো রাখা হয়নি। তবে এসব জায়গা ফিরিয়ে নিতে উদ্যোগ নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এগুলো থেকে ভাড়াও নেওয়া হচ্ছে না।
অব্যবহৃত কক্সবাজারের জমি
কক্সবাজারের সানি বিচের কাছে এক একর জমি ২০১৪ সালে ক্রয়সূত্রে বুঝে নেয় ঢাবি কর্তৃপক্ষ। ওই বছরের ২২ আগস্ট সে সময়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক সেখানে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ লেখা নামফলক উদ্বোধন করেন। জমির চারপাশে দেয়াল নির্মাণ করা হয়। এর পর থেকে এ জমি অব্যবহৃত পড়ে আছে। এ ছাড়া অব্যবহৃত আছে ধানমন্ডিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক গোবিন্দ চন্দ্র (জিসি) দেবের দান করা সাড়ে ৭ কাঠা জমি। ২০১৪ সালে আদালতের রায়ের পর সেখানে গড়ে তোলা খানকাহ শরিফ উচ্ছেদ করা হয়েছে।
পূর্বাচলের জমির বিষয়ে নেই অগ্রগতি
একশ একর জমি বরাদ্দের জন্য ঢাবির আবেদনের পর ২০১৮ সালে রাজউকের বোর্ড সভায় পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ১২ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর রাস্তার চারটি প্লটে ৫১ দশমিক ৯৯ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়। কাঠাপ্রতি ১৫ লাখ টাকা হিসাবে ৪৭১ কোটি ৮১ লাখ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়। এর পর টাকা বরাদ্দ চেয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া ছাড়া আর কিছু করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এদিকে বরাদ্দ করা জমি নিতে ঢাবি অপারগতা জানিয়েছে, দাবি করে তা থেকে ১০ একর জমি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের নামে বরাদ্দ দিতে ২০২২ সালের ২৫ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুপারিশ করে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। এর পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে। তখন প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি দেওয়া হয়। তবে টাকা বরাদ্দ নিয়ে কোনো সাড়া পায়নি বিশ্ববিদ্যালয়।
এ নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক মাকসুদ কামাল সরকারের উচ্চপর্যায়ে যোগাযোগ করেছিলেন। পূর্বাচলে মেডিকেল ফ্যাকাল্টি খোলার জন্য জমি পেতে তিনি জোর চেষ্টা চালান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারপ্ল্যান ফেজ-১ প্রকল্প সরকারের সবুজ পাতায় উঠাতে সক্ষম হন। মহাপরিকল্পনায় বেদখল জমি উদ্ধার করে ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে এ বিষয়ে নতুন প্রশাসনের ভাবনা সম্পর্কে জানা যায়নি।
শিক্ষার্থীরা যা বলছেন
সমাজবিজ্ঞানের ছাত্র মহিউদ্দিন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসিত হওয়ার পরও এখানে অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো স্থানান্তর করে সেখানে আবাসিক বা একাডেমিক ভবন নির্মাণ করতে পারলে শিক্ষা পরিবেশের উন্নতি হবে। একই সঙ্গে বহিরাগত নিয়ন্ত্রণ আরও সহজ হবে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্রী আশরেফা খাতুন বলেন, আমরা শুনে এসেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৬০০ একরের। কত একর কোথায়, কীভাবে আছে, তা জানি না। দখল করে থাকা সরকারি বা অন্য প্রতিষ্ঠান সরিয়ে যদি হল নির্মাণ করা হয়, তাহলে এটা স্বস্তিদায়ক হবে। তিনি বলেন, একদিকে কর্মচারীর জন্য বহুতল ভবন করা হচ্ছে, অন্যদিকে কুয়েত মৈত্রী হলের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ছাত্রীদের রাখা হচ্ছে; কারণ জায়গা নেই। এখানে প্রশাসনের উদাসীনতা রয়েছে।
প্রশাসন যা বলছে
বেদখল জমির বিষয়ে জানতে চাইলে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সমকালকে বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমাদের খুব ব্যস্ত সময় যাচ্ছে। জমির বিষয়ে এখন কিছু বলতে পারছি না। ভারপ্রাপ্ত এস্টেট ব্যবস্থাপক ফাতেমা বিনতে মুস্তফা বলেন, বেদখল জমি পুনরুদ্ধারে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
উপাচার্য থাকাকালে অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ বেদখল জমি পুনরুদ্ধারে উদ্যোগী হয়েছিলেন। তিনি এখন ইউজিসি চেয়ারম্যানের দায়িত্বে। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক জায়গা বেদখল হয়েছে। পূর্বাচলে জায়গা আরও বাড়িয়ে নেওয়া যায় কিনা, এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে উদ্যোগ নিতে হবে।
- বিষয় :
- বিশ্ববিদ্যালয়