ঢাকা বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে রিভিউ শুনানি ১৯ জানুয়ারি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে রিভিউ শুনানি ১৯ জানুয়ারি

ফাইল ছবি

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১০:৪৩ | আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১১:৩৩

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর আবেদন শুনানি অনুষ্ঠিত হবে ১৯ জানুয়ারি। রোববার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৬ সদস্যের আপিল বিভাগ শুনানির এ দিন নতুন করে ধার্য করেন। 

বিএনপি ও জামায়াতের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ আদালত এ সিদ্ধান্ত নেয়। আজ সকালে বিএনপির পক্ষে আইনজীবী জয়নুল আবেদীন এক মাস সময় আবেদন করেন। এ সময় জামায়াতও এই বিষয়ে আদালতে সময় আবেদন করেন। আপিল বিভাগ বলেন, এই মামলার সঙ্গে পঞ্চদশ সংশোধনীর মামলার কোনো সম্পর্ক আছে কিনা। পরে আপিল বিভাগ বলেন, ১৯ জানুয়ারি এ রিভিউ শুনানি হবে। ওই দিন সময় চাইলেও আর দেওয়া হবে না। 

১৬ অক্টোবর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে বিএনপির পক্ষ থেকে আপিল বিভাগে রিভিউ দায়ের করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একই সঙ্গে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আপিল বিভাগে এই মামলায় লড়বেন বিএনপির মহাসচিব। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিভিউ আবেদন করেন তিনি।

২৩ অক্টোবর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি রিভিউ আবেদন দায়ের করে। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে রিভিউ আবেদন দায়ের করেছেন সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। 

এছাড়া ২৭ আগস্ট মাসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার আলাদা রিভিউ আবেদন করেন।

সংবিধানে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগ এ রিট খারিজ করেন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করা হয়।

এ রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০০৫ সালে আপিল করে রিট আবেদনকারীপক্ষ। এ আপিল মঞ্জুর করে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। তবে পরবর্তী দুটি সংসদ নির্বাচন অর্থাৎ ১০ম ও ১১তম নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করা যেতে পারে বলে অভিমত দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল আদালত। কিন্তু লিখিত রায়ে পরবর্তী দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে পারে বলে আপিল বিভাগ যে আদেশ দিয়েছিলেন তা আর রাখা হয়নি।

ঘোষিত রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলোপসহ বেশকিছু বিষয়ে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। এরপর ওই বছরের ৩ জুলাই এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়।

whatsapp follow image

আরও পড়ুন

×