স্কুলে ভর্তি আবেদনে উল্টো চিত্র সরকারি-বেসরকারিতে
আবেদনের সময় শেষ
ফাইল ফটো
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১১:২৪ | আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১১:৫০
দেশের সরকারি-বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তি আবেদনের সময়সীমা শেষ হয়েছে। শনিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনলাইনে আবেদনের সুযোগ পেয়েছিল শিক্ষার্থীরা। এ পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে আবেদন করেছে ৯ লাখ ৬৫ হাজার ৭০৪ জন। এর মধ্যে বেসরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য আবেদন জমা পড়েছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৮০০টি। আর সরকারি স্কুলে ভর্তি আবেদন করেছে সংখ্যা ৬ লাখ ২৫ হাজার ৯০৪ জন। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মাধ্যমিক বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
দেশের ৫ হাজার ৬২৫টি সরকারি-বেসরকারি স্কুলে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এসব স্কুলে ভর্তিযোগ্য শূন্য আসন ১১ লাখ ১৬ হাজার ৩৩৩টি। দেশের ৪ হাজার ৯৪৫টি বেসরকারি স্কুলে ভর্তিযোগ্য আসন ১০ লাখ ৭ হাজার ৬৭১টি। আবেদন জমা পড়ার হিসাবে ৬ লাখ ৬৭ হাজার ৮৭১ আসন ফাঁকা পড়ে থাকবে। ভিন্নচিত্র সরকারি স্কুলের ক্ষেত্রে। সারাদেশে সরকারি ৬৮০টি স্কুলে ১ লাখ ৮ হাজার ৬৬২টি ভর্তিযোগ্য শূন্য আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ৬ লাখ ২৫ হাজার ৯০৪টি; অর্থাৎ সরকারি স্কুলের শূন্য আসনের তুলনায় প্রায় ছয় গুণ বেশি শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবেদন করেছে। তাই আসনস্বল্পতায় এখানে পড়ার সুযোগ পাবে না আবেদন করা ৫ লাখ ১৭ হাজার ২৪২ জন।
আবেদন প্রক্রিয়া শেষে এবার ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠিত হবে। এরপর লটারির ফল প্রকাশ করা হবে। মাউশির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আনুষ্ঠানিকভাবে লটারির সম্ভাব্য দিন ঠিক করা হয়েছে ১০ ডিসেম্বর। আর ১২ ডিসেম্বর লটারির কার্যক্রম শেষে ফল প্রকাশ করা হতে পারে। তবে বিশেষ কারণে এ তারিখে পরিবর্তন আসতে পারে।
ডিজিটাল লটারির ফল প্রকাশের পর ১৭ ডিসেম্বর শুরু হবে চূড়ান্ত ভর্তি কার্যক্রম। এটি চলবে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি শুরু হবে ২২ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর। দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকার ভর্তি চলবে ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর।
দেশের মফস্বল এলাকার স্কুলে সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি সাকল্যে ৫০০ টাকার বেশি হবে না। উপজেলা ও পৌর এলাকায় ১ হাজার টাকা, মহানগর এলাকায় (ঢাকা বাদে) সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা। অন্যদিকে রাজধানীর এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সর্বোচ্চ ভর্তি ফি নিতে পারবে ৫ হাজার টাকা। আংশিক এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভর্তি ফি নিতে পারবে ৮ হাজার টাকা। তবে ইংরেজি ভার্সনে ভর্তি ফি ১০ হাজার টাকা। তা ছাড়া রাজধানীর প্রতিষ্ঠানগুলো উন্নয়ন ফি ৩ হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না। একই প্রতিষ্ঠানে বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রতিবছর সেশন চার্জ নেওয়া যাবে। তবে পুনঃভর্তি ফি নেওয়া যাবে না।
- বিষয় :
- স্কুলে ভর্তি