ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

কর্ণফুলী নদীর জায়গা লিজের বিজ্ঞপ্তি

চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যানসহ ২ জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল

চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যানসহ ২ জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল

ফাইল ছবি

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৫:৩৮

আদালতের আদেশ অমান্য করে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর জায়গা লিজ দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করায় চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যানসহ দুই জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর দ্বৈত বেঞ্চ আবেদনের শুনানি শেষে তাদের ওপর আদালত অবমাননার রুল জারি করেন।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান, প্রশাসন ও পরিকল্পনার অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি ম্যানেজার মো. শিহাব উদ্দিনের ওপর এ আদালত অবমাননার রুল জারি করা হয়। একইসঙ্গে আদালত দৈনিক পূর্বকোণ পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন।

এইচআরপিবির পক্ষে শুনানি করেন কৌশলী সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডিএজি মো. তামিম।

শুনানিতে এইচআরপিবির কৌশলী সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, হাইকোর্ট কর্তৃক কর্ণফুলী নদীর জায়গা উদ্ধার করার নির্দেশনা এবং আরেকটি জনস্বার্থের মামলায় আপিল বিভাগ থেকে নদীর জায়গার লিজ না দেওয়ার আদেশ থাকা সত্ত্বেও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের নির্দেশে কর্ণফুলী নদীর জায়গা লিজ দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যা আদালত অবমাননার শামিল। এভাবে নদী ভরাট করতে থাকলে কর্ণফুলী নদীর অস্তিত্ব থাকবে না।

জানা যায়, আদালতের রায় অমান্য করে চলতি বছরের ৭ নভেম্বর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি ম্যানেজার দৈনিক পূর্বকোণ পত্রিকায় একটি দরপত্র আহ্বান করেন। দরপত্রে ফিরিঙ্গি বাজারের আর এস ৬০১ দাগের জন্য ১০ বছরের লিজ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিটি এইচআরপিবির নজরে আসলে ২৫ নভেম্বর অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ তিনজনকে আদালত অবমাননার নোটিশ দেন। নোটিশের জবাব না দেওয়ায় ২ ডিসেম্বর আদালত অবমাননার মামলা করেন।

মামলার আবেদনকারী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট এখলাস উদ্দিন ভূঁইয়া। রিট পিটিশনের বিবাদীরা হলেন চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষসহ ২ জন।

প্রসঙ্গত, কর্ণফুলী নদী রক্ষার্থে পরিবেশবাদী ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) রিটের শুনানি শেষে ২০১৬ সালে কর্ণফুলী নদীর সীমানা জরিপ সংরক্ষণ করার নির্দেশ দেন আদালত। ২০১০ সালে ওই রিট পিটিশনটি দায়ের করে এইচআরপিবি।

আরও পড়ুন

×