মানবাধিকারের কোনো বিকল্প নেই: লায়ন এরশাদ হোসেন রানা

ইয়ুথ ফর হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের (ওয়াইএইচআরআইএফবি) চেয়ারম্যান লায়ন মোহাম্মদ এরশাদ হোসেন রানা বলেছেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে মানবাধিকারের কোন বিকল্প নেই। শহীদ আবু সাঈদ ও শহীদ মুগ্ধরা যে নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছে সেই বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদদের কোনো জায়গা হবে না। যারা বিভিন্নভাবে ফ্যাসিবাদদের জায়গা দেয়ার চেষ্টা করছেন তাদেরকে ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে পরাজিত করবে। 

মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে ওয়াইএইচআরআইএফবি-এর উদ্যোগে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন: বর্তমান সংকট ও সমাধানের পথে আমাদের ভূমিকা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। 

লায়ন এরশাদ হোসেন রানা বলেন, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত না করলে গণতন্ত্র বলুন আর ভোটের অধিকার বলুন কোনো কিছুই সঠিক নিয়মে চলে না। আইনের শাসন, ন্যায় বিচার ও একজন সু–নাগরিক হিসেবে প্রত্যেকের উচিত নিজের অবস্থান থেকে অন্যের অধিকারের প্রতি সম্মান দেওয়া। 

তিনি বলেন, আমরা ২০১২ সাল থেকে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ফ্যাসিবাদের মধ্যে কথা বলার চেষ্টা করেছি। এখন সময় এসেছে বাংলাদেশকে ঘুরে দাড়ানোর। সেখানে সব মানবাধিকার কর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে সোচ্চার হতে হবে।

অনুষ্ঠানে সাবেক প্রতিমন্ত্রী গোলাম সরওয়ার মিলন বলেন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। যারা রাজনীতি করেন তাদের ইশতেহারে স্পষ্টভাবে মানবাধিকারের প্রতিটি ধারা উল্লেখ করতে হবে। ভবিষ্যতে জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে মিলে মিশে কাজ করতে হবে।
 
এতে আরও বক্তব্য রাখেন সমন্বয়ক মো. গোলাম কিবরিয়া খান, সংগঠনের সেক্রেটারি অ্যাড. রিয়াজ হোসেন সিদ্দিকী, জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, ভিপি শহীদ, লায়ন সালাউদ্দিন, আব্দুল কাদের, তরুণ সংঘের ফজলুল হক, আনিসুর রহমান আনিস ও  আমানুল্লাহ কবির প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলন শেষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নেতাকর্মীরা ইয়ুথ ফর হিউম্যান রাইটস্ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ (ওয়াইএইচআরআইএফবি) এর চেয়ারম্যান লায়ন মোহাম্মদ এরশাদ হোসেন রানার নেতৃত্বে সবাই মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।