ঢাকা মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫

নেচার সাময়িকীর সেরা ১০ ব্যক্তিত্বের তালিকায় ড. ইউনূস

নেচার সাময়িকীর সেরা ১০ ব্যক্তিত্বের তালিকায় ড. ইউনূস

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২৩:৪২ | আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ০১:৪১

বিজ্ঞান সাময়িকী নেচারের প্রকাশিত বিশ্বের শীর্ষ ১০ ব্যক্তির তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাঁকে ‘জাতি গঠনের কারিগর’ আখ্যা দিয়েছে সাময়িকীটি। নেচার এ নোবেলজয়ীকে নিয়ে শিরোনাম করেছে, ‘দ্য রেভল্যুশনারি ইকোনমিস্ট হু বিকাম দ্য আনলাইকলি লিডারস অব বাংলাদেশ।’ 

সোমবার নেচারের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে অবদান রেখে যেসব ব্যক্তি পৃথিবীকে বদলে দিয়েছেন, তাদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এ তালিকায়। এবারের তালিকায় আবহাওয়া পূর্বাভাসের নতুন ধারণা থেকে শুরু করে রাষ্ট্র পরিচালনার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো স্থান পেয়েছে। 

ড. ইউনূস সম্পর্কে নেচার উল্লেখ করে, বাংলাদেশে স্বৈরাচারী সরকারের পতনে নেতৃত্বদানকারী শিক্ষার্থীরা তাঁকে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান করার দাবি জানিয়েছিলেন। ইউনূসের জন্য এটি ছিল এক নতুন ও কঠিন চ্যালেঞ্জ। কারণ তিনি কখনই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেননি। ছয় দশকের ক্যারিয়ারে তিনি দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নতুন ধারণার জন্য নিজেকে পরিচিত করেছেন। 

ড. ইউনূসের দীর্ঘদিনের সহকর্মী অ্যালেক্স কাউন্টস বলেন, তাঁর বয়স আশির কোঠায় হলেও শারীরিক ও মানসিকভাবে তিনি অত্যন্ত উজ্জ্বল। তিনি অসাধারণ যোগাযোগ দক্ষতার অধিকারী এবং গভীর সহানুভূতিশীল। 

চট্টগ্রামে জন্ম নেওয়া ড. ইউনূস ১৯৬০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে পরিবেশগত অর্থনীতির প্রতিষ্ঠাতা নিকোলাস জর্জেসকু-রোগেনের অধীনে পড়াশোনা করেন। তাঁর উদ্ভাবিত ‘ক্ষুদ্র ঋণ’ ধারণাটি সমাজের সবচেয়ে দরিদ্র মানুষের জীবনযাত্রা পরিবর্তন করতে সক্ষম বলে তিনি প্রমাণ করেছেন। 

নেচারের প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রামীণ ব্যাংকের মতো একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার চেয়ে ১৭ কোটি মানুষের একটি দেশের সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশে এখন প্রায় সবারই একটি প্রশ্ন: ইউনূস কি ছাত্রদের দাবিগুলো পূরণে সক্ষম হবেন? এসব দাবির মধ্যে রয়েছে দুর্নীতি দূরীকরণ, নাগরিক অধিকার সুরক্ষা, চাকরি ও শিক্ষায় সমান সুযোগ এবং বিক্ষোভে নিহতদের পরিবারের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা। 

আরও পড়ুন

×