ঢাকা সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা ধরিয়ে দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা ধরিয়ে দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ছবি: ফাইল

সমকাল ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | ০৭:৩১

ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব, কূটনীতিক এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা প্রয়াত জে এন দীক্ষিতের লেখা বইয়ের উদ্ধৃতি তুলে ধরে গতকাল বুধবার ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টার মুখোশ খুলে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। খবর বাসসের।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুকের একটি পোস্টে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের ঘটনাবলির ওপর দীক্ষিতের পর্যবেক্ষণ উদ্ধৃত করে বলেছে, ‘আমরা ১৯৭১ সালে আমাদের গৌরবময় বিজয় উদযাপন করি; আমরা উদযাপনের মাধ্যমে সত্য প্রকাশ করি।’

‘ইতিহাসের তথ্য’ শিরোনামে মন্ত্রণালয়ের পোস্টে পুনর্ব্যক্ত করা হয়, একটি সুদীর্ঘ সংগ্রাম এবং ৯ মাসের নৃশংস যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ একটি সার্বভৌম, স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। পোস্টে দীক্ষিতের ‘লিবারেশন অ্যান্ড বিয়ন্ড: ইন্দো-বাংলাদেশ রিলেশন্স’ গ্রন্থে লিপিবদ্ধ যুদ্ধ শেষের আত্মসমর্পণের বিস্তারিত বিবরণ উদ্ধৃত করা হয়।

মন্ত্রণালয়ের পোস্টে দীক্ষিতের বইয়ের নিম্নোক্ত অংশগুলো উল্লেখ করা হয়– ‘আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের একটি বড় রাজনৈতিক ভুল ছিল জেনারেল এমএজি ওসমানীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ব্যর্থতা এবং বাংলাদেশ থেকে জয়েন্ট কমান্ডের কমান্ডার হিসেবে তাঁকে স্বাক্ষরদাতা হিসেবে দেখাতে না পারা। তাঁর অনুপস্থিতি ব্যাখ্যা করার আনুষ্ঠানিক অজুহাত ছিল যে, তাঁর হেলিকপ্টারটি উড্ডয়ন করেছিল; কিন্তু আত্মসমর্পণের সময়সূচির জন্য সময়মতো ঢাকা পৌঁছতে পারেনি। কিন্তু ব্যাপক সন্দেহ ছিল, তাঁর হেলিকপ্টারটি বিপথে পাঠানো হয়েছিল যাতে তিনি সময়মতো ঢাকায় পৌঁছতে না পারে এবং অনুষ্ঠানের মনোযোগ যাতে কেন্দ্রীভূত হয় ভারতীয় সামরিক কমান্ডারদের দিকে। এটি একটি দুর্ভাগ্যজনক বিভ্রান্তি, যা ভারত এড়াতে পারত।’

ঘটনাটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে ওসমানীর উপস্থিতি অনেক রাজনৈতিক ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে সাহায্য করতে পারত, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রাথমিক দিনগুলোতে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে প্রভাবিত করেছিল।

আরও পড়ুন

×