‘দুর্যোগের ক্ষতি কমাতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে’

বৃহস্পতিবার রাজধানীতে আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রেজওয়ানুর রহমান।
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২০:৫১
প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্ধ করা সম্ভব নয়। তবে দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে অনেক ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। এ জন্য গণসচেতনতা যেমন দরকার, তেমনি প্রয়োজন ঝড়-জলোচ্ছ্বাস ও বন্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার মতো অবকাঠামো নির্মাণ, উঁচু বাঁধ তৈরি ইত্যাদি। সরকার এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রেজওয়ানুর রহমান এসব কথা বলেন। মহাখালীর হোটেল অবকাশে দুর্যোগকালীল সময়ে জেন্ডার সংবেদনশীল রিপোর্টিং বিষয়ক এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এনজিও লাইট হাউস আয়োজিত এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী প্রধান মো. হারুন অর রশিদ।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, সময় উপযোগী পদক্ষেপ সঠিক ও সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা ও পর্যাপ্ত পরিমাণ উদ্ধার সামগ্রী, প্রচুর পরিমাণ প্রশিক্ষিত জনবল হতে পারে ক্ষয়-ক্ষতি কমানোর ও জানমাল রক্ষার উপায়। এজন্য প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। টেকসই দুর্যোগ মোকাবেলা অনেকটাই নির্ভর করছে আমরা কতটা জোর দিচ্ছি প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধানের উপর। আইপিসিসির পঞ্চম আসেসমেন্টের প্রতিবেদন অনুসারে জলবায়ুজনিত দুর্যোগের কারণে বাংলাদেশের সামনে অপেক্ষা করছে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। এই দুর্যোগ মোকাবেলায় সফল না হলে নিরাপদ, জলবায়ু পরিবর্তনে অভিঘাত-সহিষ্ণু সমৃদ্ধ বদ্বীপ গড়ে তোলা সম্ভব হবে না।
লাইট হাউসের নির্বাহী প্রধান মো. হারুন অর রশিদ বলেন, লাইট হাউজ ১৯৮৮ সাল থেকে বাংলাদেশের গ্রামীণ ও শহুরে দরিদ্র, প্রান্তিক ও উচ্চ ঝুঁকির জনগোষ্ঠী, যৌন সংখ্যালঘু, হিজড়া, আদিবাসী এবং অন্যান্য পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। লাইট হাউজ ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, আর্টিকেল ১৯ ও ফ্রি প্রেস আনলিমিটেডের আর্থিক সহায়তায় কুড়িগ্রাম জেলার ৫টি উপজেলায় (কুড়িগ্রাম সদর, রাজারহাট, উলিপুর, চিলমারী, রাজিবপুর) নতুন প্রকল্পে সফলতার সঙ্গে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটির অন্যতম লক্ষ্য হলো সাংবাদিক ও সিভিল সোসাইটি সংগঠনগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করে দুর্যোগকালীন সময়ে নারী, কিশোরী ও অন্যান্যদের নিরাপত্তা ও প্রয়োজনীয় ত্রাণ সহায়তা প্রাপ্তি নিশ্চিত করা।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক (গবেষণা ও প্রশিক্ষণ) ও যুগ্ম সচিব নাহিদা সুলতানা মল্লিক, উপসচিব সানজিদা ইয়াসমিন, কমিউনিকেশন ও মিডিয়া স্পেশালিস্ট সৈয়দ আশরাফ উল ইসলাম, প্রকল্প ব্যবস্থাপক মনিরুল ইসলাম প্রমুখ। এতে অংশ নেন বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত ২০ জন সংবাদকর্মী।