ঢাকা রবিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫

চার মাস ধরে বেতন হয়নি নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত কারিগরি শিক্ষকদের

চার মাস ধরে বেতন হয়নি নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত কারিগরি শিক্ষকদের

কারিগরি শাখায় নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বকেয়া বেতনের দাবিতে মানববন্ধন

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৯:০৭

এনটিআরসিএ নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত কারিগরি শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করা হয়নি। এছাড়া চার মাস ধরে বেতনও পাচ্ছেন না তারা। এই অবস্থায় জানুয়ারি মাসের মধ্যে নিবন্ধিতদের এমপিওভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে কারিগরি শিক্ষক ফেডারেশন। বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এনটিআরসিএর ১৭তম নিবন্ধনের ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে কারিগরি শাখায় নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের দ্রুত বকেয়া বেতন প্রদানের দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এনটিআরসিএর ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে প্রায় দুই হাজার শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তারা যোগদান করার পর থেকে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিয়মিত পালন করে আসছেন। তবে দুই হাজার শিক্ষকের মধ্যে যারা জানুয়ারি মাসে নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের বেতন হাতে পাবেন তাদের মাত্র ৮৫ জনকে ডিসেম্বর মাসের এমপিও দেওয়া হয়। কিন্তু তাদের যোগদান থেকে কোনো বেতন দেওয়া হয়নি। তারা বকেয়া বেতন পাবেন কিনা সেটারও নিশ্চয়তা নেই।

বক্তারা জানান, কারিগরি শিক্ষক ফেডারেশন এরই মধ্যে দুইবার কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে স্মারকলিপি দিলেও দ্রুত এমপিওভুক্তি এবং যোগদান থেকে বেতন প্রদানের বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি। গত চার মাস ধরে প্রায় দুই হাজার শিক্ষক পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এসব শিক্ষক মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। স্বাভাবিকভাবে পাঠদানেও এর প্রভাব পড়ছে। অন্যদিকে একই প্যানেল থেকে একই যোগ্যতা নিয়ে জেনারেল ও মাদরাসা শাখার শিক্ষকরা যোগদান থেকেই বেতন পাচ্ছেন। বিনা বেতনে কাজ করানো অসাংবিধানিক ও বেআইনি। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের লঙ্ঘনও।

কারিগরি শিক্ষক ফেডারেশনের দাবিগুলো হলো- জানুয়ারি মাসের মধ্যে এনটিআরসিএ কর্তৃক ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে কারিগরি শাখায় নিয়োগপ্রাপ্ত সকল শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করা এবং যোগদান থেকেই বেতন দেওয়াসহ যাদের এমপিও হয়েছে তাদের বকেয়া বেতন দেওয়া।

মানববন্ধনে কারিগরি শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি মো. রেজাউল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মো. সোলাইমান কবিরসহ প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন

×