ঢাকা রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

কারাবন্দি জওয়ানদের মুক্তিসহ চার দফা দাবি তৎকালীন বিডিআর সদস্যদের স্বজনের

কারাবন্দি জওয়ানদের মুক্তিসহ চার দফা দাবি তৎকালীন বিডিআর সদস্যদের স্বজনের

নির্যাতিত বিডিআর পরিবার ও বিডিআর কল্যাণ পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত আওংবাদ সম্মেলন। ছবি- সমকাল

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৪:১৯ | আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৪:৫৬

পিলখানা হত্যাযজ্ঞের মামলার রায় বাতিল বা স্থগিত করে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কারাবন্দি সব বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) জওয়ানকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা। তারা বলেন, হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত পরিকল্পনাকারী, ষড়যন্ত্রকারী ও খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে কারা নির্যাতিত বিডিআর পরিবার ও বিডিআর কল্যাণ পরিষদের ব্যানারে করা এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবিসহ চার দফা তুলে ধরা হয়েছে। 

অপর দাবিগুলো হচ্ছে, পূর্বের রায় বহাল রাখার ষড়যন্ত্র থেকে বেরিয়ে তদন্ত কমিশনের প্রজ্ঞাপন থেকে ‘ব্যতীত’ নামক শব্দটি ও দ্বিতীয় পৃষ্ঠার ‘ঙ নম্বর’ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার করতে হবে। শেখ হাসিনার নির্দেশে সারাদেশে যে ১৮ হাজার ৫১৯ জন বিডিআর জওয়ানকে অন্যায়ভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে, তাদের সম্পূর্ণ সরকারি সুযোগ-সুবিধাসহ চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে। স্বাধীন তদন্ত কমিশনের সভাপতিকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতির পদমর্যাদা এবং কমিশনের অন্য সদস্যদের হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতির পদমর্যাদা দিতে হবে। এ ছাড়া কমিশনের সভাপতি ও সদস্যদের নিরাপত্তায় গাড়ি এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য লজিস্টিক সাপোর্ট দিতে হবে। একইসঙ্গে পিলখানা হত্যাকাণ্ড মামলায় পূর্বের বিচারের রায় বহাল রাখার ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে এসে প্রকৃত মাস্টারমাইন্ড, রাজনীতিবিদ, কর্মকর্তা ও বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিও জানানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, দুটি সুশৃঙ্খল বাহিনীকে ধ্বংস করার জন্য পিলখানা হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। একইসঙ্গে এই হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার অবৈধ ক্ষমতাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সুসংহত করার উদ্দেশ্য ছিল দেশি বিদেশি চক্রান্তের নীল নকশার সফল বাস্তবায়ন। কিন্তু হাসিনা এই হত্যাকাণ্ডকে অত্যন্ত চতুরতার সঙ্গে বিডিআর বিদ্রোহ বলে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রকৃত সত্যকে আড়াল করার উদ্দেশ্যে তদন্তের নামে তদন্ত হেফাজতে ৪৭ জন নিরীহ বিডিআর জওয়ানকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে যে সমস্ত বিডিআর জওয়ান সত্য প্রকাশ করতে যাচ্ছিল তাদেরই তদন্তের নামে মেরে ফেলা হয় এবং তাদের হাত থেকে পিলখানার পেশ ইমামও রক্ষা পাননি।

বিডিআর পরিবারের সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিচার কার্যক্রমের নাটক সুচারুভাবে সম্পন্ন করার পুরস্কার হিসেবে পিপি অ্যাডভোকেট আনিসুল হককে টেকনোক্র্যাট কোটায় আইনমন্ত্রী আর সরকারি পিপি মোশারফ হোসেন কাজলকে দুদকের পিপি, দায়রা জজ মোহাম্মদ জহিরুল হককে দুদকের কমিশনার এবং দায়রা জজ ড. আক্তারুজ্জামানকে হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন

×