ঢাকা শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

সাংবাদিক নান্নুকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রী-শাশুড়ির বিরুদ্ধে মামলা

সাংবাদিক নান্নুকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রী-শাশুড়ির বিরুদ্ধে মামলা

ফাইল ছবি

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২০ | ০৬:০৭ | আপডেট: ২৯ জুন ২০২০ | ০৬:১২

দৈনিক যুগান্তরের অপরাধ বিভাগের প্রধান মোয়াজ্জেম হোসেন নান্নুকে হত্যার অভিযোগে তার স্ত্রী শাহীনা হোসেন পল্লবী ও শাশুড়ি শান্তা পারভেজের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সোমবার রাজধানীর বাড্ডা থানায় মামলাটি করেন নান্নুর ভাই নজরুল ইসলাম খোকন।

এর আগে মৃতের স্ত্রীর করা একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু (ইউডি) মামলার সূত্র ধরে ঘটনাটির তদন্ত করে আসছিল পুলিশ।

বাড্ডা থানার ওসি পারভেজ ইসলাম সমকালকে বলেন, সাংবাদিক নান্নুর মৃত্যু নিয়ে শুরু থেকেই সহকর্মীসহ অনেকের নানা অভিযোগ ছিল। অনেকের মতে, এটি দুর্ঘটনায় নয় হত্যাকাণ্ড। সর্বশেষ আনুষ্ঠানিকভাবে এই অভিযোগে মামলা হয়েছে। এতে মৃতের স্ত্রী-শাশুড়ি ছাড়াও  আরেকজনকে আসামি করা হয়েছে। তার খাওয়ানো স্যুপে বিষ মেশানো ছিল বলে আগেও অভিযোগ উঠেছিল। পুলিশ সব অভিযোগ তদন্ত করে দেখছে।

রাজধানীর বাড্ডার আফতাবনগরের তিন নম্বর সড়কের বি-ব্লকের ৪৪/৪৬ নম্বর বাসার দশম তলায় থাকতেন দৈনিক যুগান্তরের অপরাধ বিভাগের প্রধান নান্নু। গত ১২ জুন ভোরে সেখানে রহস্যজনক আগুনে তিনি গুরুতর দগ্ধ হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন সকালে তার মৃত্যু হয়। এর আগে গত ২ জানুয়ারি একই ঘরে অগ্নিকাণ্ডে মারা যায় তার ২৪ বছর বয়সী ছেলে স্বপ্নীল আহমেদ পিয়াস।

মামলার এজাহারে বাদী বলেছেন, 'নান্‌নু বাসায় ফেরার পর স্ত্রীর সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। এর কিছু সময় পর বাসায় আগুন লাগে। এছাড়া নান্‌নু একাই ছাদে গিয়ে পাইপ এনে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। তার স্ত্রী ও শাশুড়ি আগুন নেভানোর চেষ্টা করেননি। নান্‌নু নিজেই ১০ তলা থেকে হেঁটে (সিড়ি দিয়ে) নিচে নামেন। সেখান থেকে আশেপাশের ফ্ল্যাটের মালিকরা তাকে হাসপাতালে নেন। তার স্ত্রী অনেক পরে হাসপাতালে যান।' এজাহারে নান্‌নুর স্ত্রী 'ইনফিনিটি' নামে যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন, সেটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার ভূমিকাও সন্দেহজনক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, অভিযোগ থাকায় আগেই ইনফিনিটির প্রধানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তখন তিনি নান্‌নুর সঙ্গে তার পরিচয়, সম্পর্ক ও অন্যান্য বিষয়ে বিশদ বলেছেন। সেখানে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। তবে তিনি নান্‌নুকে যে স্যুপ খাওয়ান, সেখানে বিষ মেশানো ছিল বলে সন্দেহ করছেন কেউ কেউ। সেটি তদন্তের জন্য এরই মধ্যে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি বিষক্রিয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হতে ভিসেরা পরীক্ষার প্রয়োজন। তবে লাশের ময়নাতদন্ত না করায় তখন ভিসেরা নমুনাও সংগ্রহ করা হয়নি। এখন লাশ তুলে ময়নাতদন্ত করা হতে পারে।

আরও পড়ুন

×