চার মাসে পল্লী বিদ্যুতের ৪০০০ কর্মীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

ছবি: সংগৃহীত
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৫ | ২২:৪৬
গত চার মাসে প্রায় চার হাজার কর্মকর্তা কর্মচারীর বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুতি, বদলিসহ নানান হয়রানিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে পল্লী বিদ্যুৎ এসোসিয়েশন (বাপবিএ)। বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি করা হয়।
এতে বলা হয়, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) বিনা নোটিশে ২৯ জনকে চাকরিচ্যুত করেছে। পাশাপাশি মামলা, রিমান্ড, গ্রেপ্তার, বরখাস্ত, দূরবর্তী স্থানে বদলির শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। এরমধ্যে হয়রানিমূলক বদলির শিকার ৪ হাজার ১১৮ জন। তারা হলেন– লাইনক্রু প্রায় ৬৭৩ জন, জুনিয়র প্রকৌশলী ৫৮৯ জন, ইনফোর্সেমন্ট কর্ডিনেটর (ইসি) ২৯০ জন, পাওয়ার ইউজ কর্ডিনেটর পিউসি ১২১ জন, বিলিং সুপারভাইজার ৩০৮ জন, সহকারী মহাব্যবস্থাপক ৫৮০ জন, উপমহাব্যবস্থাপক ১৭৯ জন, সিনিয়র মহাব্যবস্থাপক ৩৬ জন ও অন্যান্য ৯০৭ জন। সর্বশেষ গতকাল রাতে ৪৩৫ লাইন টেকনিশিয়ানকে বদলি করা হয়।
ভুক্তভোগীদের দাবি, পল্লী বিদ্যুতে সরকারের সংস্কার কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করতে আন্দোলনের অজুহাতে বিভিন্ন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি থেকে শাস্তিমূলকভাবে এই বদলি করা হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে নেতারা অভিযোগ করেন, আরইবি ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে অভিন্ন সার্ভিস কোড বাস্তবায়ন এবং সকল অনিয়মিতদের নিয়মিত করার দাবিতে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাস থেকে তারা আন্দোলন করে আসছেন। দাবির প্রেক্ষিতে সরকারও বিভিন্ন সময় কমিটি গঠনসহ নানা পদক্ষেপ নেয়। কিন্তু সরকারের নেওয়া সংস্কার পদক্ষেপকে বাধাগ্রস্ত করতে আরইইবি সবসময় নানা প্রহসনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছে।
তারা বলেন, ঝড় বৃষ্টির মৌসুমে বিদ্যুৎ কর্মীদের এমন গণবদলি নজিরবিহীন এবং চরম অমানবিক। তারা আরও বলেন, সমিতিতে এমনিতেই ব্যাপক জনবলের ঘাটতি রয়েছে। স্বল্প জনবল দিয়ে যেখানে কালবৈশাখীর ঝড়-বৃষ্টিতে ও তীব্র তাপদাহে বিদ্যুৎ সেবা চালু রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সেখানে এই ধরনের গণ-বদলির কারণে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ও গ্রাহক সেবা চরমভাবে বিঘ্নিত হওয়া শঙ্কা দেখা দিচ্ছে।
নেতারা হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, চাকরিচ্যুতদের ও সংযুক্ত এবং সাময়িক বরখাস্তদের স্বপদে বহালসহ বিশেষজ্ঞ কমিটির পল্লী বিদ্যুৎ সংস্কারের প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশের দাবি জানান।
- বিষয় :
- পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি
- অবসর
- বদলি
- বহিষ্কার