ঢাকা বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

নগদ প্রসঙ্গে গভর্নর 

বর্তমান ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ আগের তহবিলে এক্সেস করতে পারবে না

বর্তমান ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ আগের তহবিলে এক্সেস করতে পারবে না

ছবি: প্রেস উইং

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৫ | ১৮:০৮ | আপডেট: ১৯ মে ২০২৫ | ২০:২৩

নগদ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, এখন যারা প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করছেন তারা যেন আগের তহবিলে এক্সেস (প্রবেশাধিকার) না পান সে ব্যাপারে ব্যাংকগুলোকে বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, এমএফএস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদে অন্তত ২ হাজার ৬৬০ কোটি টাকার জালিয়াতি হয়েছে। ৬৬০ কোটি টাকার জাল ই–মানি ইস্যু এবং সরকারের বিভিন্ন তহবিল বিতরণ না করে ২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে আগের পরিচালনার সঙ্গে যুক্তরা। জালিয়াতির সঙ্গে যুক্তদের হাতে এখন আবার প্রতিষ্ঠানটির নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে।

সোমবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এসব তথ্য জানান। এ সময় অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও বিএফআইইউ প্রধান এ এফ এম শাহীনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধার কার্যক্রমের অগ্রগতি বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে নগদ ও ব্যাংক রেজুলেশন অধ্যাদেশসহ বিভিন্ন বিষয় ওঠে আসে।

এক প্রশ্নের উত্তরে গভর্নর বলেন, আইন অনুযায়ী– এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলো এক টাকা ব্যাংকে রেখে তার সমপরিমাণ টাকা ছাড়তে পারে। এটা অমান্য করে জালিয়াতির মাধ্যমে তারা অন্তত ৬৬০ কোটি টাকা ইস্যু করেছে। যে কারণে আমরা তাদের জালিয়াত হিসেবে চিহ্নিত করেছি। এই জালিয়াতির জন্য তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দরকার আছে। বিষয়টি এখন আইনগতভাবে সমাধানের অপেক্ষায় আছে। আমরা আশা করি দ্রুত সমাধান হবে।

গভর্নর বলেন, ব্যাংক রেজুলেশন একটি শক্তিশালী অধ্যাদেশ। এই অধ্যাদেশ আমরা প্রয়োগ করতে যাচ্ছি। একবারে সব ব্যাংকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে না। ধাপে–ধাপে নেওয়া হবে। ব্যাংকিং খাত যেন আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে সে জন্য অত্যন্ত কার্যকর ভাবে এটা করা হবে। কোনো তড়িঘড়ি হবে না। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সক্ষমতা বাড়ানো হবে।

প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে নগদ পরিচালনায় যুক্তরা সবাই পলাতক। এরকম অবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশাসক ও একটি ব্যবস্থাপনা বোর্ড গঠন করে দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশাসক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একটি রিট হয়। গত ফেব্রুয়ারিতে রিট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের ওপর চেম্বার জজ আদালতে আপিল করেন তারা। গত ৮ মে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও আকস্মিকভাবে গত ৭ মে একতরফা শুনানি করে ৮ সপ্তাহের জন্য হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেন আদালত। এরপর আগের সিইও তানভীর এ মিশুক ই-মেইল যোগে নতুন করে সাফায়েত আলম নামের একজনকে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিয়োগ করেছেন। সাফায়েত নগদের ৬৬০ কোটি টাকার জাল ই–মানি ইস্যুর ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের মামলার ৪ নম্বর আসামি।

আরও পড়ুন

×