ঢাকা শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

ভার্চুয়াল সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা

দুর্যোগ প্রশমনে অধিক গবেষণা প্রয়োজন

দুর্যোগ প্রশমনে অধিক গবেষণা প্রয়োজন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২০ | ১২:৪৪ | আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২০ | ১৩:০৬

‘বর্তমানে বিভিন্ন দুর্যোগের সম্মুখীন হচ্ছে দেশ। ফলে সরকারের অনেক প্রকল্প ঝুঁকিতে পড়ছে। তবে দুর্যোগ প্রশমনে সঠিক ব্যবস্থাপনা নিতে পারলে ওইসব ঝুঁকি কমানো সম্ভব। দুর্যোগ প্রশমনে সম্পদের সঠিক ব্যবহার জরুরি। এর সঙ্গে সুশাসনেরও সম্পর্ক রয়েছে। দুর্যোগ প্রশমন করে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা কমিয়ে আনাই ‘গুড গভর্নেন্স’। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল নিয়ে গবেষণার সুযোগ রয়েছে। কেননা একেক অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য একেক রকম। অন্যদিকে, গবেষণার ফলে দক্ষ জনশক্তি গড়ে ওঠে। এজন্য দুর্যোগ প্রশমনে অধিক গবেষণা প্রয়োজন।’

রোববার সন্ধ্যায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন।

ঢাকা ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীনের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন।সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক ড. খোন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন।

আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে ভার্চুয়াল এই সেমিনারের আয়োজন করে ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিজ। দিবসটির এবারের স্লোগান ‘দুর্যোগ ঝুঁঁকি হ্রাসে সুশাসন, নিশ্চিত করবে টেকসই উন্নয়ন’।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এনামুর রহমান দুর্যোগ প্রশমনে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দুর্যোগ প্রশমনে সরকারের ডেলটা প্ল্যান বাস্তবায়ন করা গেলে একশ' বছর পর নয়, বরং ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ দুর্যোগ সহনীয় হিসেবে গড়ে উঠবে। তিনি বলেন, গবেষণার ফলে দক্ষ জনশক্তি গড়ে ওঠে। এজন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় অধিক গবেষণা প্রয়োজন।

মূল প্রবন্ধে মোকাদ্দেম হোসেন বৈজ্ঞানিক উপায়ে কীভাবে দুর্যোগ প্রশমন করা যায় সে বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দুর্যোগ প্রশমনে সম্পদের সঠিক ব্যবহার জরুরি। এর সঙ্গে সুশাসনের সম্পর্ক রয়েছে। দুর্যোগ প্রশমন করে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা কমিয়ে আনাই ‘গুড গভর্নেন্স’। সরকারের উচিত দুর্যোগ প্রশমনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এর সঙ্গে এনজিওগুলোরও এগিয়ে আসা উচিত। অন্যদিকে, দুর্যোগ প্রশমনে গবেষণা করা অধিক জরুরি।

মাকসুদ কামাল বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে ‘অ্যাড্রেস’ করতে না পারার কারণে বিশ্বে কভিড-১৯ মহামারি দেখা দেয়। বর্তমানে এদেশ বিভিন্ন দুর্যোগের সম্মুখীন হচ্ছে। ফলে সরকারের অনেক প্রকল্প ঝুঁকিতে পড়ছে। দুর্যোগ প্রশমনে সঠিক ব্যবস্থাপনা নিতে পারলে ওসব ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

মো. মোহসীন বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল নিয়ে গবেষণার সুযোগ রয়েছে। কেননা একেক অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য একেক রকম। এজন্য দুর্যোগ প্রশমনে গবেষণার বিকল্প নেই।

সভাপতির বক্তব্যে মাহবুবা নাসরিন সেমিনারে সকলকে অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানান। এসময় তিনি দুর্যোগ প্রশমনে এই বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীদের গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক এবং শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। অতিথিদের আলোচনা শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন অতিথি বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুন

×