প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঘর পাচ্ছেন সেই রুবিনা
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২০ | ০৯:১৯
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের মধ্যমপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল ওয়াহেদের মেয়ে রুবিনা বেগম (৩৬)। মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় ১৫ বছর আগে বিয়ে হলেও দেড় বছরের মাথায় রুবিনাকে ফেলে তার স্বামী বিদেশ চলে যায়। সেই থেকে গরিব-অসহায় বাবার সংসারে থাকেন রুবিনা। বেশ কয়েক মাস আগে বাবাকেও হারান তিনি।
বাবা-মা হারা অসহায় এই নারীর ছোট ভাই আশরাফুল আলমও শারীরিক প্রতিবন্ধী। বাবার রেখে যাওয়া জরাজীর্ণ মাটির ঘরে থাকেন তারা। বর্ষার পানিতে ধুয়ে গেছে মাটির ঘরের দেয়াল। কিছুদিন আগে রান্নাঘরটিও ভেঙে গেছে। বৃষ্টির দিনে ভাঙা টিনের চালা দিয়ে পানি পড়ে ঝুঁকিপূর্ণ ওই ঘরে।
বসবাসের অযোগ্য ঘরটি মেরামত বা নতুন ঘর করার পয়সা নেই তাদের। গ্রামে নতুন মানুষ দেখলেই এগিয়ে আসেন রুবিনা। সম্প্রতি এক সাংবাদিককে দেখে রুবিনা বলেন, 'তোরা কি সরকারি লোক বাহে? তোরা কি এটা (একটা) বাড়ি দিবার পারো হামাক? এ জগতে মোর কেউ নাই। সরকারকে কইয়্যা মোক এটা বাড়ি দে বাহে।'
এরপর রুবিনার দুর্দশার কথা গণমাধ্যমে উঠে আসে। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নজরে এলে দুস্থ ও দরিদ্র মানুষকে ঘর নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মেনে তাৎক্ষণিকভাবে মানসিক প্রতিবন্ধী রুবিনার জন্য ঘর নির্মাণের ব্যবস্থা করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পে 'আবাসিক ভবন নির্মাণ' খাতের আওতায় রুবিনা বেগম ও আশরাফুল আলমকে একটি সেমিপাকা ঘর নির্মাণের অর্থও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে গুণগত মান বজায় রেখে নির্ধারিত ডিজাইন অনুযায়ী দ্রুততম সময়ে বাড়িটি নির্মাণ করে দিতে সংশ্নিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের পরিচালক মাহবুব হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ ও প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধায়নে মুজিববর্ষের মধ্যে সব গৃহহীনের জন্য ঘর তৈরি করে দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে। দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার মানসিক প্রতিবন্ধী রুবিনা বেগমের জন্যও ঘর নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একটি সেমিপাকা ঘর নির্মাণে ইতোমধ্যে অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। দ্রুততম সময়ে তার জন্য ঘরটি নির্মাণ করে দেওয়া হবে।